গাজায় ‘জার্মান উইমেন জ্যাজ অর্কেস্ট্রা’
২১ জুলাই ২০১১গ্রীষ্মের এক সুন্দর সন্ধ্যায় গাজা সিটির ‘কফি গ্যালারি' র মুক্তাঙ্গনে খোলা আকাশের নীচে অনুষ্ঠিত হোল এই জ্যাজ কনসার্ট৷ এই গ্যালারি গাজার যুব সমাজের জন্য এক বিকল্প মিলন স্থান৷ বিশেষ করে ফেস-বুক প্রজন্ম অল্প সময়ের জন্য হলেও এখানে তাদের প্রতিদিনের কঠোর ও নিরানন্দ জীবনকে ভুলে থাকতে পারে৷ এই কনসার্ট ছিল তাদের জন্য এক বিরাট অভিজ্ঞতা৷
ইসরায়েল সরকারের নিষেধাজ্ঞা নীতির কারণে ১২ সদস্যের ‘জার্মান উইমেন জ্যাজ অর্কেস্ট্রা', কনসার্টের কিছু দিন আগেও জানতেন না তাঁরা গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন কিনা৷ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতাধীন এরেজ চেকপয়েন্টের সীমান্ত বেড়া পার হওয়ার অনুমতি পান তাঁরা শেষ পর্যন্ত৷ বেশির ভাগ ফিলিস্তিনিরই এই সীমান্ত পারাপারের অধিকার নেই৷ গাজায় ঢোকার অনুমতি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন সংগীত দল৷ সেই সাথে আনন্দিত রামাল্লার গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট এর পরিচালক এবং এই কনসার্টের অন্যতম সংগঠক ইয়র্গ শুমাখার৷ তিনি বলেন:
‘‘আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে এটা সম্ভব হতে পেরেছে৷ আমরা ছ'সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি, যোগাযোগ করেছি সরকারি প্রতিনিধি, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বা অ্যারেজ কর্মকর্তাদের সাথে যাতে আমরা ১২জন সংগীত শিল্পীকে নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারি৷ যদি প্রবেশের অনুমতি না পেতাম তাহলে আমাদের অন্য পরিকল্পনা ছিল কিন্তু এখন আমরা আনন্দিত যে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি৷''
ইসরায়েল সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা নীতির ফলে বহির্বিশ্ব থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গাজা ভুখণ্ড৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিদেশী সংগীত শিল্পীদের সাথে গাজার যুব সমাজের পরিচয়৷ তাই আধুনিক ব়্যাপ বা হিপ-হপ সংগীত সম্পর্কে তারা সচেতন৷এই কনসার্টের শেষার্ধে দুজন ফিলিস্তিনি ব়্যাপার একটি গান পরিবেশনার জন্য মঞ্চে আমন্ত্রিত হোন৷
সুইং মিশ্রিত আধুনিক জ্যাজ অথবা ব্লুজ আঙ্গিকের সংগীত গাজার বাসিন্দাদের কাছে কতটা পৌঁছেছে তা বলা মুশকিল৷ কিন্তু এক নতুন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছেন তাঁরা নিঃসন্দেহে৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক