গাদ্দাফির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এলাকাতেই ন্যাটোর বিমান হামলা
২৫ এপ্রিল ২০১১কখন কীভাবে হামলা?
ত্রিপোলির স্থানীয় সময় ভোররাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া চালকবিহীন ড্রোন বিমান থেকে বোমা ফেলা হয় রাজধানীর প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে৷ বাব এল আজিজিয়া নামের ওই কমপ্লেক্সে বোমা হামলায় একটি ভবন পুরোপুরি মাটিতে মিশে যায়৷ গাদ্দাফির সরকার পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেলে এই হামলার ছবি দেখানো হয়েছে৷ বিকট শব্দ, বিস্ফোরণ এবং বাড়ি ভেঙে পড়ার দৃশ্য প্রচার করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, এই হামলায় বহুসংখ্যক হতাহত হয়েছে৷ যাদের মধ্যে সেনা সদস্য ছাড়াও রয়েছে সাধারণ নাগরিকও৷
গাদ্দাফি কোথায় আছেন এই মুহূর্তে?
সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন৷ লিবিয়ার টেলিভিশন হামলার লক্ষ্য হিসেবে তাদের প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করলেও, হামলার সময়ে বা পরে গাদ্দাফি কোথায় রয়েছেন, সে বিষয়ে কোন মন্তব্যই করেনি৷ তবে গাদ্দাফি এই হামলার লক্ষ্য হলেও তিনি যে নিরাপদে আছেন তার ইঙ্গিত দিয়ে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বাব এল আজিজিয়াতে শত্রুদের হামলার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়নি৷'
বিদ্রোহীদের মধ্যে ঢুকে পড়ছে গাদ্দাফির সেনারা!
সেরকমই অভিযোগ করেছেন মিসরাটায় বিদ্রোহীদের কর্নেল আহমদ বানি৷ মিসরাটার দখলদারি নিয়ে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই চলছে গত কয়েকদিন ধরেই৷ এরই মধ্যে গতকাল রবিবার, লড়াইরত বিদ্রোহীদের মধ্যে ছদ্মবেশে এক গাদ্দাফি সেনা ঢুকে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্নেল বানি৷ তারপর সে বিদ্রোহীদের পতাকা উঁচু করে তুলে ধরে৷ পতাকার সম্মানে অন্য সকলে যখন বন্দুক ফেলে হাততালি দিচ্ছিলেন, তখনই সেই গাদ্দাফি সেনা তার হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করে৷ বিদ্রোহীদের এরপর সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে এ ধরণের ছলনার শিকার তারা বারবার না হয়৷ প্রসঙ্গত, মিসরাটার দখল ফিরে পেতে গাদ্দাফি বাহিনী শহরের বাইরে থেকে দূরপাল্লার মিসাইল এবং বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত৷ সোমবার সকালেও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে মিসারাটায়৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার