1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুলশান হামলা মামলায় আটক ২

২১ ডিসেম্বর ২০১৬

এ বছরের জুলাই মাসে গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই সদস্যকে মঙ্গলবার আটক করেছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী৷ ঐ হামলায় ২২ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বিদেশি৷

https://p.dw.com/p/2UehY
গুলশান হামলার পর ২ জুলাই সকালে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ
২ জুলাই সকালে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা ছবি: Reuters/M. Hossain Opu

ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় জুলাইয়ের ১ তারিখে যে হামলা চালানো হয়, তার দায় স্বীকার করে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট আইএস৷ গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে মুক্তমনা ব্লগার হত্যা এবং সংখ্যালঘু হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে সংগঠনটি৷

যে দুই তরুণকে আটক করা হয়েছে, তাদের বয়স ২১ ও ২৮ বছর এবং তারা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ জেএমবি-র একটি শাখা ‘নব্য জেএমবি’ বলে পরিচিত দলের সদস্য৷ নতুন এই দলটির আইএস-এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ৷ এই দুই যুবক গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে পুলিশের ধারণা৷

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র‌্যাব-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর বলেন, ‘‘ঐ দুই যুবকের কাছ থেকে অনেক টাকা, জিহাদি বই, লিফলেট এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷’’

পুলিশ জানিয়েছে, গুলশান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজন ৪২ জন নিহত হয়েছে৷ হামলার হোতা হিসেবে চিহ্নিত কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীও নিহতদের একজন৷

১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ এতে বনানি থানার ওসি সালাহ উদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ জন বিদেশি নাগরিক এবং তিন জন বাংলাদেশি নিহত হন৷ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’-এ পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়৷ জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জিম্মিকে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান