চোর ধরার ফাঁদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪জার্মানিতে বছরে গড়ে দশ মিলিয়ন ইউরো মূল্যমানের সোলার প্যানেল চুরি হচ্ছে৷ পুলিশ সন্দেহ করছে, এর পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী দল রয়েছে৷ আর চোরদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাভেরিয়া রাজ্য৷ গত বছর লোয়ার বাভারিয়া অঞ্চলে ১৭টি চুরির ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে৷
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের শহর কাইজার্সলাউটার্ন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিয়ামন সোলার প্যানেলের নিরাপত্তার আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে৷ ইঞ্জিনিয়ার অলিভার স্ট্রেকে এবং তাঁর সহকর্মীরা চুরি যাওয়া সোলার প্যানেল সহজে শনাক্ত করতে পারেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চুরি যাওয়া সোলার প্যানেল যত দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে আর্থিক ক্ষতি কমানো৷ সিস্টেম বন্ধ থাকলে আর্থিক ক্ষতি হয়৷ এটা অনেকটা, ‘চুরি করলেও আমরা তোমাকে দ্রুত ধরবো' নীতি৷ আর এটা জানলে চোর আর চুরির চেষ্টাই করবে না৷''
ডিভাইসটি রক্ষায় সেটির চারপাশে গলানো প্লাস্টিক দিয়ে দেয়া হয়৷ এরপর সেটি সোলার প্যানেলে জুড়ে দেয়া হয়৷ এই সিস্টেম জিপিএস সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম৷ ফলে মালিকের অনুমতি ছাড়া কেউ যদি প্যানেল নির্ধারিত স্থান থেকে সরায় তাহলে এটি সিগন্যাল পাঠাবে৷
বিশেষ করে যাঁদের বিমা নেই, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি বিশেষভাবে সহায়ক৷ জার্মানির টি-মোবাইলের জন্যও এই উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ৷ কেননা সোলার প্যানেলের মধ্যে এই সেবাদাতার সিম বসিয়ে দেয়া হয়৷
বাভেরিয়ার সোলার পার্কের ম্যানেজার পেটার ম্যুলারের মতো ব্যক্তিরা এমন সিস্টেমের সম্ভাব্য ক্রেতা৷ তবে তাঁর কাছে খরচের ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ৷ ভাবতে হয়, এর থেকে বিমা সস্তা হবে কিনা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য সাশ্রয়ী কিনা দেখতে হবে৷ যদি এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থার খরচ পুরো পার্ক থেকে আয় করা লাভের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তা ব্যবহারের কোনো অর্থ নেই৷''
অলিভার স্ট্রেকও বিষয়টি বোঝেন৷ তাঁর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্যানেল-প্রতি খরচ ৩৫০ ইউরো৷ তবে একটি পার্কের প্রতিটি প্যানেলে এই ব্যবস্থার দরকার নেই৷ প্রতি ৫০টির মধ্যে একটিতে থাকলেই চলবে৷