জমিতে সৌর প্যানেল বসানো লাভজনক বিনিয়োগ!
১৪ জুন ২০১৪অ্যান্টনি কোরিন নামের ঐ ব্যক্তি বলেন, ‘‘সোলার পিভি প্রযুক্তির সুবিধা দুটো৷ এক – প্রকল্পের মেয়াদকালে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার সঠিক হিসাব জানা যায়৷ আর দুই – সরকারের সঙ্গে চুক্তির কারণে অর্থ পাওয়াটাও নিশ্চিত থাকে৷ তাই এখানে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার পরবর্তী ২০ বছরের আয় সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পেতে পারেন৷ অন্যভাবে সেটা সম্ভব নয়৷''
তিনি জানান, ‘‘এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ২,০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে৷ তবে আমাদের ২,০০০ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সামর্থ্য রয়েছে৷''
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৮ গিগাওয়াট সমপরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করতে চায়৷ এ লক্ষ্যে এখনো যেহেতু বেশি দূর এগোনো যায়নি, তাই কয়েকটি জার্মান সংস্থা এগিয়ে এসেছে৷ যেমন ‘ইউভি'৷ টেরি ক্রুগার নামে সংস্থার এক কর্মকর্তা বললেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটি৷ পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে মোট ৬৪টি প্রকল্প রয়েছে৷ এছাড়া নামিবিয়া, বতসোয়ানার মতো দেশেও আগ্রহ তৈরি হচ্ছে৷''
ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইউভি৷
এ বছরই নিজের জমিতে আরও দুটো বড় কেন্দ্র স্থাপন করতে চায় অ্যান্টনি কোরিন৷ তবে, এখনো কিছু বাধা রয়েছে৷ ‘‘আরও বেশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও নিশ্চয়তা প্রয়োজন, যেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারকরা দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারে৷ বিশেষ করে, লক্ষ্য পূরণের জন্য স্থানীয় নির্মাণ সংস্থা গড়ে তুলতে হবে৷ আর সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো ভাবতে হবে৷''