চ্যাম্পিয়নস লিগ
২১ নভেম্বর ২০১২জার্মানরা বরাবরই ফুটবল পাগল৷ নিজের দেশের বা প্রিয় দলের খেলার দিনটিতে বাড়তি উত্তেজনা থাকে এই জাতির মধ্যে৷ মোটের ওপর বায়ার্নের ভক্ত সংখ্যা অনেক৷ জার্মানির অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ৷ সেই ক্লাবের আবার বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের৷ মঙ্গলবার রাতের খেলা নিয়ে তাই জার্মানদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না৷
তবে ভ্যালেন্সিয়াতে গিয়ে স্বাগতিকদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি বাভারিয়ানরা৷ খেলার ফলাফল ১-১৷ শুরু থেকেই অবশ্য খেলায় আধিপত্য বজায় রাখে বায়ার্ন৷ প্রতিপক্ষের নিরাপত্ত ব্যুহে একের পর এক আঘাত হানে সে দলের খেলোয়াড়রা৷ কিন্তু কেন যেন ঠিক চূড়ান্ত সাফল্য মিলছিল না৷ প্রথমার্ধ তাই কেটে যায় গোলশূণ্য৷ অবশ্য খেলার ৩৩ মিনিটের মাথায় একজন খেলোয়াড় হারায় ভ্যালেন্সিয়া৷ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতিহত করায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন আন্টোনিও বারাগান৷
দশ জনের ভ্যালেন্সিয়াকে আরো চাপে ফেলেবে বায়ার্ন, এমনটা প্রত্যাশা ছিল অনেকর মাঝেই৷ কিন্তু বাস্তবে সেটাও ঠিক করতে পারেনি বাভারিয়ানরা৷ তাদের একাধিক আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার ভিসেন্টি গুয়াইটা৷ এমনকি খেলার প্রথম গোলটাও আসে ভ্যালেন্সিয়ার তরফ থেকেই৷ সেদলের সোফিয়ান ফেগুলি ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে বল গোলে জড়ান৷ এক্ষেত্রে অবশ্য বায়ার্নের খেলোয়াড় ডান্টের হাতে লাগে বল আর তাতেই বিভ্রান্ত হন গোলরক্ষক নয়ার৷ ফলে গোলে বল জড়ানোর দৃশ্য তাকিয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি মানুয়েল নয়ার৷
৭৬ মিনিটে ভেলেন্সিয়ার এই গোলের পর ঘুরে দাঁড়ায় বায়ার্ন৷ মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় চমৎকার গোলে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন টোমাস ম্যুলার৷ এই গোলের পুরো কৃতিত্ব অবশ্য ম্যুলারকে দেওয়াও ঠিক নয়৷ মাঠে ঠিক যেন জেড আকৃতির দাগ কেটে লম্বা পাসে বলটি ম্যুলার অবধি পৌঁছে দেন শাকিরি, লাম, বাস্তুবান এবং গোমেস৷ পুরো টিম ওয়ার্ক যাকে বলে আরকি৷