জাতিসংঘের তদন্তের দাবি নাকচ করলো ভারত
১০ জানুয়ারি ২০১৩গত ৬ই জানুয়ারি এবং ৮ই জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন এবং দু'পক্ষেরগুলি বিনিময়ে দু'জন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হবার ঘটনা তদন্ত করার জন্য পকিস্তান জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের কাছে প্রস্তাব দিলে, ভারত তা সরাসরি নাকচ করে দেয়৷ অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম সাংবাদিকদের বলেন, এই ইস্যুর আন্তর্জাতিক রূপ দিতে এবং জাতিসংঘকে দিয়ে তদন্ত করাতে ভারত আদৌ আগ্রহী নয়৷
বিরোধী দল বিজেপিও বলেছে একই কথা৷ বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাখভি বলেন, পাকিস্তানকে মালা দেবার দিন শেষ৷ পাকিস্তানের সঙ্গে সেই ভাষাতেই কথা বলতে হবে, যে ভাষা সে বোঝে৷
এদিকে, ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন তাঁর পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় সেনার মৃত্যুর অভিযোগ করলে, পাকিস্তান তা অস্বীকার করে৷
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যাতে না বাড়ে তার জন্য জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এতে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়৷
কাশ্মীরের কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতার মতে, কাশ্মীর সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমবে না এবং এই ধরণের সংঘর্ষ চলতে থাকবে৷ হবে জীবনহানি৷ বলা বাহুল্য, কাশ্মীর ইস্যু এক বিস্ফোরক পয়েন্ট৷ ভবিষ্যতে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে সেখান থেকেই৷ তার পরিণামে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত-পাকিস্তানের অস্তিত্ব হবে বিপন্ন৷ মধ্যপন্থী হরিয়াত নেতা আব্দুল গনি ভাট কিন্তু মনে করেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে শান্তিপূর্ণ পথে, বন্দুকের নলে নয়৷ সেজন্য দু'পক্ষকেই সংযত থাকতে হবে৷
বিশ্লেকদের মতে, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের দুটি ঘটনা যেমন স্থানীয় ইস্যু নয়, তেমনি অহেতুক বাড়িয়ে চড়িয়ে দেখানোও ঠিক নয়৷ এ ধরণের ঘটনা মাঝে মাঝেই হয়৷ তাই দরকার হলো, দোষারোপের পালা বন্ধ করে দু'পক্ষেরই উচিত সমাধানের পথ খুঁজে দেখা যাতে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়৷ তাই অবিলম্বে শুরু করতে হবে ‘হট লাইন'-এ বিভিন্ন স্তরে আলোচনা৷ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে৷