1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতের বিচার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ মার্চ ২০১৪

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী৷ জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে৷ এ মাসেই মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে প্রসিকিউশন৷

https://p.dw.com/p/1BLp6
ছবি: AP

তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা৷ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশে যে সব মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, তার সাথে জামায়াতের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ তাঁরা এই অপরাধ প্রমাণের জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট, তথ্য ও দলটির অর্গানোগ্রামসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধকালীন এই দলটির যুদ্ধাপরাধ পরবর্তী সময়ে দলটির নানা কার্যক্রমও তদন্ত হচ্ছে৷

মতিউর রহমান বলেন, ‘‘তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ আরো অনেক অপরাধ হয়েছে জামায়াতের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে৷ দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে জামায়াত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে এবং এজন্য রাজাকার, আলবদর ও আল শামসসহ নানা বাহিনীও গঠন করে৷ আর এসব বাহিনীর নেতৃত্বে ও মাঠ পর্যায়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ছিলেন৷ এর বিনিময়ে জামায়াত আর্থিক সহায়তাও নিয়েছে৷'' তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের কাছে জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্তের তথ্যপ্রমাণ এবং কাগজপত্র আছে৷

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট রাণা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জামায়াত নেতাদের বিচারের একাধিক রায়ে জামায়াতকে ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, জামায়াত পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে৷ আর ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের বিধান করা হয়েছে৷ ট্রাইব্যুনাল আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ট্রাইব্যুনাল যে রকম শাস্তি দেয়া যৌক্তিক মনে করেন৷'' তাহলে জামায়াতের বিচার হলে চেইন অব কমান্ডেরও বিচার হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, ‘‘না, এখানে শুধু সংগঠনের বিচার হবে৷ জামায়াতের জড়িত নেতাদের বিচারতো চলছেই৷ তাদের ব্যক্তিগত অপরাধের বিচার ব্যক্তিগতভাবে করার বিধান আছে আইনে৷ এখানে শুধু সংগঠনের বিচার হবে৷'' সংগঠনের শাস্তি কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আইনে বিচারকদের ক্ষমতা দেয়া আছে৷ তাঁরা যা যৌক্তিক মনে করবেন, সেই শাস্তি দিতে পারবেন৷ কিন্তু সংগঠনকে তো আর মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়না৷ তাই বিচারে জামায়াত দোষী প্রমাণিত হলে দলটি নিষিদ্ধ হতে পারে৷ দলের সব ধরনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে৷'

উল্লেখ্য, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অনেক আগে থেকেই দল হিসেবে জামায়াতের বিচার দাবি করে আসছিল৷ আর গণজাজরণ মঞ্চও জামায়াতের বিচারের দাবি জানায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য