জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২আদনান সাদেক৷ ২০০২ সালে জার্মানিতে এসেছিলেন উচ্চশিক্ষা নিতে৷ লেখাপড়া শেষে তিনি এখন চাকরি করছেন৷ তিনি সহ আরও কয়েকজন মিলে দেড় বছর আগে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইন জার্মানি' বা বিএসএএজি৷ তাদের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যার ঠিকানা http://bsaagweb.de/ ৷
জার্মানিতে পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এর সদস্য হচ্ছেন৷ এর মাধ্যমে তারা জানতে পারছেন নানান তথ্য৷ যেমন - জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা, লেখাপড়ার খরচ, জীবনযাপন পদ্ধতি, পড়ালেখা শেষে চাকরির সুবিধা কেমন ইত্যাদি৷ তবে আদনান জানালেন, ফেসবুকে তাদের যে গ্রুপ রয়েছে সেখানে সবচেয়ে বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে৷ ঐ গ্রুপের যারা সদস্য তারা সেই তথ্যগুলো জানতে পারছে৷ আর যারা ফেসবুকে নেই তারা যেন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেতে পারে সেজন্য কিছু কিছু তথ্য ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানিতে যারা পাঁচ দশ বছর ধরে রয়েছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন৷ ফেসবুকে এ ধরণের প্রায় ৭০ থেকে ১০০টির মতো ডকুমেন্ট রয়েছে৷''
আদনান বলেন, ‘‘কেউ তাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে চাইলে তাকে আগে ‘অনুরোধ' পাঠাতে হবে৷ এরপর আমরা তার তথ্য যাচাই করে দেখবো৷ সেটা সন্তোষজনক হলে তাকে সদস্য করে নেয়া হবে৷ এরপর সে ফেসবুকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারবে৷ আমরা তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো৷''
এছাড়াও জার্মানিতে আসতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে চ্যাটিং এর ব্যবস্থাও করে থাকেন আদনান ও তাঁর সহকর্মীরা৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতি মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে দশটার সময় যে কেউ চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেন৷ সেখানে গিয়ে চ্যাটিং রুমে ঢুকলেই আমাদের পাওয়া যাবে৷ এর মাধ্যমে যে কেউ আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবে৷ যাদের অডিও ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য টেক্সটেরও ব্যবস্থা আছে৷''
আদনান বলেন, তারা বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন৷ সেখানে তারা সেমিনার করে শিক্ষার্থীদের জার্মানি সম্পর্কে ধারণা দেবেন৷
তিনি বলেন, অ্যামেরিকার গ্রিন কার্ডের মতো জার্মানিতে ব্লু কার্ড চালু হতে যাচ্ছে৷ এছাড়া, আগে কোনো বিদেশিকে জার্মানিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগের জন্য বছরে যে বেতন পেতে হতো সেটার পরিমাণও অনেকখানি কমিয়ে আনা হচ্ছে৷ বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্য আয়ের যে সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে, সেটা আগের চেয়ে অনেক কম৷ তাই এই বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷
আদনান ছাড়াও এই কাজে সংশ্লিষ্ট আছেন আখেনের রাশেদুল হাসান ও আসিফ আখতার, ডার্মস্টাডের সুজয় পাল, মিউনিখের আরেফিন বিদ্যুৎ, ভুর্ৎসবুর্গের তানভীর রহমান ও কাইজার্সলাউটার্নের নয়ন ধর৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই