খেলার মাঠে পুলিশ!
৯ আগস্ট ২০১৪জার্মানির ফেডারেল কাঠামোয় আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়৷ প্রথমে নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য ‘ঝুঁকিহীন' ফুটবল ম্যাচে পুলিশের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারপর দক্ষিণের বাডেন ভ্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যও একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে৷ তবে স্থির হয়েছে, যে ম্যাচে সত্যি হিংসার ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে স্টেডিয়ামে আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে৷
তবে কাগজে-কলমে ঝুঁকি থাকা বা না-থাকার বিষয়টির সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকবে তো? বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য আপাতত বুন্ডেসলিগার চলতি মরসুমে ৪টি ম্যাচে ‘পাইলট প্রকল্প' হিসেবে কম পুলিশ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
এমন সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো পুলিশ বাহিনীর উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ৷ ২০১২-২০১৩ সালের ফুটবল মরসুমে শুধু ট্রেনে ফ্যানদের উপর নজর রাখতেই সব মিলিয়ে ১১০,৯৫৪ জন ফেডারেল পুলিশ অফিসার সক্রিয় ছিলেন৷ তার আগের মরসুমে সংখ্যাটি ছিল ৯৭,৬৮৮৷ এর বিপুল ব্যয়ভার, ব্যবস্থাপনার সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে৷ তাছাড়া একই সময় অন্য জরুরি প্রয়োজনে সেই পুলিশকর্মীদের পাওয়া যায় না৷
স্টেডিয়ামে পুলিশের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগের নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ফুটবল ফ্যানরা বেশ খুশি৷ এমনকি কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, আশেপাশে বেশি পুলিশ না থাকলে ফ্যানদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়বে, তারা নিজেরাই বাকিদের সংযত করার চেষ্টা করবে৷ অন্যদিকে ফুটবল ক্লাব সহ কিছু মহল দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ তাদের মতে, পুলিশ থাকবে না – এটা আগেভাগে জানতে পারলে দুষ্কৃতিরা গোলমাল বাঁধিয়ে দেবার বাড়তি সুযোগ পাবে৷ তাছাড়া স্টেডিয়ামে যাতায়াতের পথে হিংসার যে সব ঘটনা ঘটে, পুলিশ না থাকলে তাও বেড়ে যেতে পারে৷ ফুটবল ক্লাবগুলি নিরাপত্তার জন্য যে বিনিয়োগ করে, তা দিয়ে আংশিকভাবে কিছু ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব৷ তবে বেসরকারি কর্মীরা কোনো অবস্থাতেই পুলিশের ভূমিকা পালন করতে পারে না বলে মনে করে অনেক ক্লাব৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)