জার্মানিতে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২শুক্রবার জার্মানির সংসদীয় আদালত ওলাফ শলৎস সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমতি দিয়েছে৷ এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যোগ দিতে টিকা সম্পূর্ণকরণের সনদ বা করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ দাখিল করতে হবে৷
এর আগে জার্মান সংসদে আইনটি অনুমোদিত হওয়ার পর কোনো কোনো রাজ্যের সরকার তা প্রয়োগ করতে অস্বীকার করে৷ কোনো আইন প্রয়োগে এমন সংকট নিরসনের চেষ্টা দেশটির জন্য বিরল ঘটনা৷ বিরোধীরা এই আইনের স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন৷ তবে সেটি বাতিল করে দিয়েছে আদালত৷ এতে ১৫ মার্চ থেকে আইনটি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না৷
তবে টিকা আইন সাংবিধানসম্মত কিনা সে বিষয়ে আদালতের পরে রায় দেয়ার কথা রয়েছে৷
কী আছে আইনে
এই আইন অনুযায়ী সেবাকেন্দ্র, হাসপাতাল, চিকিৎসকদের ক্লিনিকে কর্মরত সব কর্মী, সেই সঙ্গে ধাত্রী, ফিজিওথেরাপিস্ট, মেসেজ থেরাপিস্টদেরও টিকা সম্পূর্ণকরণের সনদ বা করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে৷ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গুরুতর রোগীরা যাতে বাড়তি ঝুঁকিতে না পড়েন সেই জন্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে চায় সরকার৷
তবে স্বাস্থ্যগত কারণে কেউ যদি টিকা নিতে না পারেন, তার উপর এই আইন কার্যকর হবে না৷ অন্যথায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিতে পারবে৷
তবে আইনটি কার্যকর নিয়ে সমালোচকদের বেশ কিছু উদ্বেগও রয়েছে৷
বর্তমানে জার্মানিতে এমনিতেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি রয়েছে৷ এ কারণে পুরো সক্ষমতা ব্যবহারে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো৷ এমন অবস্থায় এই আইনের কারণে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী তাদের পেশা ছেড়ে দিতে পারেন, যা পরিস্থিতি আরো নাজুক করে তুলতে পারে বলে মনে করেন বিরোধীরা৷
সোমবার বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ১৫ মার্চ থেকে রাজ্যটিতে এই আইন কার্যকর করবেন না৷ রক্ষণশীল সিডিইউ দলের প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসও আইন প্রয়োগের খুঁটিনাটি বিষয়ে সরকারকে আরো স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
এফএস/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)