ইউরো ২০১২
২৫ জুন ২০১২কিয়েভের মাঠে নির্ধারিত সময় পার করে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও গোল পেল না ইটালি কিংবা ইংল্যান্ড৷ ফলে পেনাল্টি শটে আবারো ঐতিহাসিক দুর্ভাগ্যের শিকার হলো ইংল্যান্ড৷ এবারের ইংলিশ দুর্ভাগ্যের নায়কে পরিণত হলেন অ্যাশলি ইয়ং এবং অ্যাশলি কোল৷ দুই অ্যাশলির ব্যর্থতার ফলে ৪-২ গোলে ইটালির কাছে হেরে ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো ইংলিশদের৷
ইংলিশ কোচ রয় হজসনও নিজেদের ঠিক সেই দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে যে, আমরা ১২০ মিনিটেও জয় ছিনিয়ে আনার মতো যথেষ্ট ভালো ছিলাম না৷ আর পেনাল্টি শটে যাওয়ার ব্যাপারটি ঠিক সেই পথ যেখানে আমাদের ভাগ্য উল্টোপথে ঘোরে৷'' একটু পেছনে ফিরলে দেখা যায়, বড়মাপের আসরে পেনাল্টি শটে শুধুমাত্র একবারই জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড৷ সেটি ছিল ইউরো ১৯৯৬ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে জয়৷
সেই জয় ছাড়া আর কখনও পেনাল্টি শটে জেতেনি তারা৷ ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের সেমিফাইনালে পেনাল্টি শটে ইংলিশ দলকে হারিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি৷ ঠিক একই পর্যায়ে ইউরো ১৯৯৬ আসর থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করেছিল জার্মানি৷ ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংলিশদের পেনাল্টি শটে হারায় আর্জেন্টিনা৷ আর ইউরো ২০০৪ এবং ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংলিশদের পেনাল্টি শটে হারায় পর্তুগাল৷ সেই ইতিহাসে এবার যোগ হলো ইটালির কাছে পেনাল্টি শটে পরাজয়ের বেদনাবিধুর ঘটনা৷
তবে পেনাল্টি শটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের আগে পুরো খেলায় ইটালি নিজেদের প্রাধান্য বজায় রেখেছে রবিবার৷ কোচ সেসারে প্রান্দেলির ছেলেদের দখলে বল ছিল ৬৪ ভাগ৷ এছাড়া সঠিকভাবে সহখেলোয়াড়ের কাছে বলটি তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইটালির লড়াকুদের সাফল্য ছিল ৮১ শতাংশ৷ অথচ এক্ষেত্রে ইংলিশদের সাফল্য মাত্র ৬১ শতাংশ৷ তাই সোমবার ইংলিশ পত্রিকাগুলোতেও চোখে পড়েছে ইটালির স্তুতি৷ ইটালির নান্দনিক খেলার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং ইংলিশ কোচ রয় হজসনও৷
যাহোক, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এখন আগামী বৃহস্পতিবার সেমি-ফাইনালে এবারের অন্যতম ফেভারিট জার্মানির বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে ইটালীয়দের৷ শক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানির বিরুদ্ধে কিছু চমক দেখানোর কথা বলেছেন সেসারে প্রান্দেলি৷ তবে এজন্য তাঁর স্কোয়াডের সব লড়াকুদের শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ থাকাটা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
এএইচ / ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)