জার্মানি কি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যস্থতা করবে?
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ইরান আসলে ঐ অঞ্চলে নিজেদের শক্তিমত্তা জাহির করতে চাচ্ছে বলে মনে করেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ গিল মার্সিয়ানো৷ তারা চাইছে, সিরিয়ায় নৌ ও বিমানঘাঁটি স্থাপন করতে এবং হেজবুল্লাহকে শক্তিশালী করতে৷ অন্যদিকে, ইসরায়েলের আশঙ্কা সিরিয়া সীমান্তে থেকে ইরান ভবিষ্যতে তার দেশে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে৷ এ কারণে ইসরায়েল তাদের নীতি পুরোপুরি পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং বড় ধরনের ঝুঁকি নেয়ার পরিকল্পনা করছে৷
তবে ইসরায়েল এখনও ইরানের সাথে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করছে না৷ কিন্তু এভাবে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এটি বড় সংঘাতে রূপ নেবে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এবং কখন তা বাস্তবায়ন করবে৷ কেননা, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পরপর ইরানের ওপর সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল৷ কিন্তু এখন সিরিয়া নিজেকে বাঁচাতে অনেকটাই ইরানের উপর নির্ভরশীল৷ তাই ইসরায়েলকে জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইরান সিরিয়ার উপর নির্ভর করতে হবে না৷
কয়েক মাস আগে সিরিয়ায় ইরানের একজন চিফ অফ স্টাফ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন৷ এর মধ্যে ছিল অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কিছু অধিকার দাবি৷
তবে এটাও ঠিক, সিরীয় সরকার বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, তাতে ইসরায়েলের সাথে তারাও সরাসরি সংঘাতে যেতে চাইছে না, পাশাপাশি ইরানকে সাথে রাখতে চাইছে তারা৷ অন্যদিকে, রাশিয়ার সমর্থনও ইরানের দিকে৷ যদিও সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার পাওয়ার কিছু নেই, বরং হারানোর সম্ভাবনাটাই বেশি৷
এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশেষ করে জার্মানি স্বতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷ জার্মানি বলতে গেলে ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র এবং ইরানের সাথেও তাদের একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র জার্মানির অভিজ্ঞতা আছে ইসরায়েল, ইরান এবং হেজবুল্লাহ ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার৷
ক্লাউস দাহমান/এপিবি