ড. ইউনূস ও রাজনীতি
২৭ আগস্ট ২০১৩গত জুন মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং একই মাসে বিএনপির আরেকটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার অভিনন্দন-পত্র নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন৷ গত ৭ই জুলাই বিকল্প ধারা বাংলাদেশ-এর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে ইউনূস সেন্টারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মত বিনিময় করেন৷ এরপর ২২শে আগস্ট কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সোমবার বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিয় করেন তিনি৷ আর মাঝে অরাজনৈতিক সংগঠন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সঙ্গে মত বিনিময়কালেও তিনি রাজনৈতিক সংকট নিয়ে কথা বলেন৷
সোমবারের মত বিনিময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমার কাছে আসছে, সরকারের কেউ বা আওয়ামী লীগ যদি আমার কথা শুনতে চায় আহলে আমি সানন্দে রাজি৷'' তিনি আবারো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সংঘাত কমবে৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর মতামত জানাচ্ছেন, এটা ইতিবাচক৷ এছাড়া, তিনি নিজে যখন বলেছেন যে রাজনীতিতে আসবেন না, তাই তাঁর এই মত বিনিময় এবং মতামত দানে কোনো রাজনৈতিক অভিপ্রায় নেই বলেই মনে হয়৷
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর সংলাপের কথা বলেছেন৷ এজন্য ড. ইউনূস মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারতেন৷ কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকসহ আরো নানা ইস্যুতে সরকার এবং সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের ব্যাপারে তাদের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন৷ তাই ড. ইউনূস কোনো উদ্যোগ নিলে তাতে সরকারের সাড়া পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন না৷ তবে তিনি কোনো উদ্যোগ যদি নেন, তাতে দোষের কিছু দেখেন না অধ্যাপক ইমতিয়াজ৷
তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করতেই ড. ইউনূস সংবাদমাধ্যমে কথা বলা শুরু করেন৷ এখন রাজনৈতিক বিষয়েও কথা বলছেন৷ অরাজনৈতিক ব্যক্তি রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বললে বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে, তাতে সমালোচনা করার কিছু নেই৷