সীমান্ত বৈঠক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২বুধবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচ দিনের সীমান্ত বৈঠক৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, এ দুটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে এটি পঞ্চম বৈঠক৷ বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন৷ আর ভারতের সীমন্তরক্ষী বাহনীর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসএফ-এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল৷
বাংলাদেশ এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে জোর দিচ্ছে৷ এক বছর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি সই হওয়ার সময় ভারত সীমন্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে বিএসএফ-এর হাতে ২৩ জন বালাদেশি নিহত হয়েছেন৷ আর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২৬ জন বাংলাদেশি৷ ‘অধিকার'-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান খান তাই এই বৈঠক নিয়ে হতাশার সুরে বলেন, ভারত প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু তা পালন করেনা৷
সে কারণেই তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ যদি শক্ত অবস্থান না নেয় তাহলে এই সীমান্ত হত্যা কমবেনা৷ বাংলাদেশকে এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করতে হবে৷
বিজিবি-র মহাপরিচালক জানান সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ যদি কেউ সীমান্ত এলাকায় অপরাধ করে, তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে৷
সীমান্তে এখন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ টহলের ব্যবস্থা আছে৷ গত এক বছরে দিনে এবং রাতে বিজিবি এবং বিএসফ ২৮৮৭টি যৌথ টহল করেছে৷ এতে চোরাচালান আগের চেয়ে কমে এসেছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ