1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমান্ত বৈঠক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২

প্রতিবেশী এই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা বন্ধে শক্ত অবস্থান নেবে বলে জানা গেছে৷ এছাড়া চোরাচালান বন্ধ, সীমান্তে অপরাধ দমন এবং নারী ও শিশু পাচার বন্ধ নিয়ে কথা হবে৷

https://p.dw.com/p/16E0P
ছবি: AP

বুধবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচ দিনের সীমান্ত বৈঠক৷ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর, এ দুটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে এটি পঞ্চম বৈঠক৷ বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন৷ আর ভারতের সীমন্তরক্ষী বাহনীর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসএফ-এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল৷

বাংলাদেশ এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে জোর দিচ্ছে৷ এক বছর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি সই হওয়ার সময় ভারত সীমন্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে বিএসএফ-এর হাতে ২৩ জন বালাদেশি নিহত হয়েছেন৷ আর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২৬ জন বাংলাদেশি৷ ‘অধিকার'-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান খান তাই এই বৈঠক নিয়ে হতাশার সুরে বলেন, ভারত প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু তা পালন করেনা৷

সে কারণেই তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ যদি শক্ত অবস্থান না নেয় তাহলে এই সীমান্ত হত্যা কমবেনা৷ বাংলাদেশকে এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরদার করতে হবে৷

বিজিবি-র মহাপরিচালক জানান সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ যদি কেউ সীমান্ত এলাকায় অপরাধ করে, তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে৷

সীমান্তে এখন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ টহলের ব্যবস্থা আছে৷ গত এক বছরে দিনে এবং রাতে বিজিবি এবং বিএসফ ২৮৮৭টি যৌথ টহল করেছে৷ এতে চোরাচালান আগের চেয়ে কমে এসেছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য