সীমান্তে হত্যা থামছে না
১ সেপ্টেম্বর ২০১২আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধে তার প্রতিশ্রুতি রাখছে না৷বাংলাদেশের উচিত সীমান্তে হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো এবং প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাওয়া৷
আজ ভোর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার নাগর ভিটা সীমন্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশি নাগরিক মো. আজিরুল ইসলাম (৩০)৷ তিনি ঐ এলাকার দোয়ারি গ্রামের পোটলা মোহাম্মদের ছেলে৷ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি জানায়, তিনি ভোর রাতে ৩৭৬/৪ নম্বর সীমানা পিলার অতিক্রম করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে৷ ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন৷ তার লাশ ভারতীয় সীমান্তে আছে৷ লাশ ফেরত আনার জন্য যোগোযোগ করেছে বিজিবি৷
গত ১০ বছরে সীমান্তে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন৷ যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক৷ আর গত আট মাসে ২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন৷ আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা সীমান্তে হত্যা বন্ধ করছে না৷ বিএসএফ রীতিমত তাড়া করে সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করছে৷ তারা বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকেও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করা৷ প্রয়োজনে বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করা যেতে পারে৷
নূর খান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ ভারত দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে৷ কিন্তু তারা দুই দেশের সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ককে অস্বীকার করছে৷ তারা সীমান্ত অপরাধ দমনের নামে প্রায়ই নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই