দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরে পুলিশের তল্লাশি
১১ ডিসেম্বর ২০২৪দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ বুধবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দপ্তরে তল্লাশি চালায়৷ গত সপ্তাহে তার সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিস্তৃত তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি চালানো হয়৷
পুলিশের তদন্তকারীরা একটি তল্লাশির পরোয়ানা প্রদর্শন করেছেন, যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে প্রেসিডেন্টকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা ইওনহাপ লিখেছে৷ এটিকে ইউনের বিরুদ্ধে তদন্তে নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক বার্তায় পুলিশ দলটি বলেছে, ‘‘বিশেষ তদন্ত দল প্রেসিডেন্টের দপ্তর, ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি, সৌল মেট্রোপোলিটন পুলিশ এজেন্সি এবং ন্যাশনাল এসেম্বলি সিকিউরিটি সার্ভিসে অভিযান চালিয়েছে৷''
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হায়আন, যিনি গতসপ্তাহের ব্যর্থ সামরিক আইন জারির পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে ধারনা করা হয়, আটকাবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন৷
তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং তিনি এখনো জীবিত আছেন৷ নিজের পোশাকে থাকা তন্তু ব্যবহার করে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে৷
কোরিয়া কারেকশনাল সার্ভিসের কমিশনার জেনারেল সিং ইয়ন হেই বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক সদস্য বাধা দিতে দরজা খুললে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে নিবৃত্ত হন৷''
দক্ষিণ কোরিয়া সংসদের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি আবারও ইউনকে অভিসংশনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করবে৷ ক্ষমতাসীন দল ভোটাভুটিতে বাধা দিলে গত শনিবার তাকে অভিসংশনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷
ইতোমধ্যে ইউনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে৷ এই চেষ্টায় তাদের ভূমিকা জানতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কর্তৃপক্ষ৷
সামরিক আইন জারির চেষ্টা দেশটির রাজনীতি এবং বিদেশ নীতি ছাড়াও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে৷
এআই/এসিবি (এএফপি, এপি)