ষষ্ঠ অভিযুক্ত নাবালক
২৯ জানুয়ারি ২০১৩জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড রায় দিয়েছে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের ষষ্ঠ আসামীকে নাবালক বলে গণ্য করা হবে৷ তাঁর বয়স নির্ধারণে অসিফিকেশন অর্থাৎ হাড়ের বিশেষ ধরণের পরীক্ষা করার জন্য আদালতে আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড জানিয়েছে, স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্ম তারিখের ভিত্তিতে আসামীকে নাবালক হিসেবেই দেখা হবে৷ হাড় পরীক্ষার প্রয়োজন নেই৷
স্কুলের বর্তমান এবং আগের হেডমাস্টারকে ডাকা হয়েছিল শুনানির সময়৷ তাঁদের দেয়া স্কুল সার্টিফিকেটে আসামীর জন্মতারিখ ১৯৯৫ সালের ৪ঠা জুন৷ অর্থাৎ, ১৬ই ডিসেম্বর অপরাধ সংঘটিত হবার দিন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ছয় মাস ১১ দিন৷ আগামী জুন মাসে ১৮ হলে সে সাবালক হবে৷
এই রায়ে যারপর নাই ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ৷ ক্ষুব্ধ ধর্ষিতা ও মৃতা তরুণীর পরিবারের লোকজন৷ ধর্ষিতার পিতা বলেছেন, ‘‘এই রায় মানি না৷ উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবো হাড় পরীক্ষার জন্য৷ তারপরও যদি নাবালক প্রমাণিত হয়, তাহলে দুর্ভাগ্য বলে মনে করবো৷ স্কুল সার্টিফিকেটে ভুল থাকতে পারে৷''
নাবালক হিসেবে ষষ্ঠ আসামীর ফাঁসি তো হবেই না, হবে লঘু শাস্তি৷ সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল৷ কিংবা তাকে সংশোধনাগারেও পাঠানো হতে পারে৷ তাই এই রায় নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷ বলা হয়, একজন নাবালক যদি এই রকম নৃশংস ঘটনায় বড় ভূমিকা নেওয়া সত্ত্বেও আইনের হাত থেকে নিস্তার পেয়ে যায়, তাহলে জুভেনাইল জাস্টিস আইন অবশ্যই সংশোধন করা দরকার৷ নাবালকের বয়স সীমা ১৬ বছর করার দাবি ওঠে৷
অন্যদিকে, এই মামলার শুনানি দিল্লির বাইরে নিয়ে যাবার জন্য এক আসামীর আর্জি মঙ্গলবার খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে৷ আসামী পক্ষের দু'জন আইনজীবি নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক৷ আসামীর প্রকৃত আইনজীবি কে তা জানাতে সেশন কোর্টকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট৷ সেশন কোর্ট যে উকিলকে আসামীর প্রকৃত উকিল বলেছেন, তাঁর বক্তব্য, এই ধরণের কোনো আবেদন তাঁর মক্কেল জানায়নি৷ দিল্লির ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে প্রতিদিনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি চলবে৷