যৌন হয়রানি
২০ জানুয়ারি ২০১৩ছবির নাম ‘ইনকার' মানে অস্বীকার৷ অপরাধ এবং ভালোবাসার মিশ্রণে তৈরি এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার পুরুষ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল৷ এবং উচ্চাভিলাষী নারী মায়া, যে কিনা কাজ করে সেই প্রতিষ্ঠানে৷ বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির প্রসারে মায়ার ভূমিকাও অনেক৷ কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন রাহুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলে সে৷ আর সেই অভিযোগ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে রাহুল৷
ছবিতে রাহুল এবং মায়া এক সমাজকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তাদের অতীত সম্পর্কে জানায়৷ দুই সহকর্মীর মধ্যে সম্পর্ক, ভালোলাগা, হয়রানি - সবকিছুই এতে তুলে ধরা হয়েছে ফ্ল্যাশব্যাক আকারে৷
এখানে বলা প্রয়োজন, বলিউডে এধরনের বিষয় নিয়ে সাধারণত ছবি তৈরি করা হয় না৷ মোটের উপর এমন এক সময় এই ছবি মুক্তি পেয়েছে, যখন কিনা গণধর্ষণ ইস্যু নিয়ে বিতর্কের আঁচ লেগেছে বলিউডে৷ হিন্দি ছবিতে অত্যন্ত স্বল্প পোশাকে মেয়েদেরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তা ভারতের মূল্যবোধের সঙ্গে আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা৷
প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৬ তারিখ দিল্লিতে একটি বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক ২৩ বছর বয়সি তরুণী৷ এই ঘটনার কয়েকদিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি৷ তরুণীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে গোটা ভারত৷ অভিযুক্ত ধর্ষণকারীদের এখন দ্রুত আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
ইনকার ছবির পরিচালক সুধীর মিশ্র অবশ্য বলেছেন, গণধর্ষণ বিতর্কের মধ্যেই তাঁর ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পেছনে বিশেষ কোন কারণ নেই৷ বরং এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা৷ তবে ভারতের আধুনিক এবং দ্রুত এগিয়ে যাওয়া জীবনধারার এক অন্ধকার দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে৷
ইনকার ছবিতে ভারতের কর্মপরিবেশকে আলাদা আলাদাভাবে পুরুষ এবং নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে বলেও জানান মিশ্র৷
এদিকে, শুক্রবার ছবিটি মুক্তির পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ কেউ কেউ বলছেন, যৌন হয়রানির মতো কঠিন ইস্যু নিয়ে এটি তৈরি করা হলেও শেষতক পুরুষের আধিপত্যই ফুটে উঠেছে৷ অন্যরা বলছেন, ইনকারে কর্মক্ষেত্রের এক অন্ধকার দিক তুলে ধরা হয়েছে, এরকম ছবি আরো বেশি করে তৈরি করা উচিত৷
এআই / এসি (এএফপি)