ধর্ষকের কী পরিচয়?
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেই এসেছে খবরটা৷ মনির হোসেন নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী৷ তিন সন্তানের জননীর অভিযোগ, তার স্বামী ধর্ষণ করার পর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিলেন নিজের সন্তানকে৷
খবরটি জানার পর সবার মনেই হয়ত প্রশ্ন জেগেছে- এই ধর্ষক কি সত্যিই বাবা হওয়ার যোগ্য? বাবা কি নিজের সন্তানকে ধর্ষণ করতে পারে? আবার ধর্ষণের কথা কাউকে বললে খুন করার হুমকি দিতে পারে সন্তানকেই?
আসলে সন্তান জন্ম দিলেই কেউ আদর্শ বাবা হয়ে যায় না৷ বাবারাও অপরাধ করতে পারে৷ ঘুসখোর, সন্ত্রাসী, অসাধু ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী, অর্থ পাচারকারী, ঋণ খেলাপিদের অনেকেই তো কারো-না-কারো বাবা৷
আসলে রাজনীতিবিদরা বিপদে পড়লে যে বলেন, ‘‘অপরাধীর কোনো দল হয় না, অপরাধী অপরাধীই’’, কথাটা কিন্তু শতভাগ সত্যি৷ অপরাধীর কোনো দল, জাত, ধর্ম, বর্ণ সত্যিই হয় না৷
কিন্তু মুশকিল হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘‘অপরাধীর কোনো দল হয় না, অপরাধী অপরাধীই’’ কথাটা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য স্রেফ কথার কথা হিসেবেই বলেন রাজনীতিবিদরা৷ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে বললে ক্ষমতাসীন, ক্ষমতার বাইরের দল নির্বিশেষে সব দলের সব অপরাধীর বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতো এবং এর ফলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা অনেক কমে যেতো৷
কিন্তু হচ্ছে তো উলটোটা!
ধর্ষণ কমছে কই?
তাছাড়া এমন দলই বা কই, যে দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে দলের সব পর্যায় থেকে সঙ্গে সঙ্গেই বলা হয় ‘‘অপরাধীর কোনো দল হয় না, অপরাধী অপরাধীই৷ সুতরাং এ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীর কঠোর শাস্তি হতেই হবে৷’’
এমন কথা বলে সব দল বা সংগঠন যদি বিচার প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করতো তাহলে শুধু ধর্ষণ নয়, সব অপরাধই ধীরে ধীরে কমে যেতো৷
গত অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...