ধূমকেতু থেকে বিস্ময়কর তথ্যের অপেক্ষা
১৩ নভেম্বর ২০১৪ইএসএ-র ছোট্ট মহাকাশযান ফিলা প্রথমবারের মতো ধূমকেতু ৬৭পি/চুরইউমভ-গেরাসিমেনকোয় নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে৷ ইএসএ ধূমকেতুতে নিজেদের তৈরি যান নামিয়ে গবেষণার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিল ২১ বছর আগে৷ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন, অর্থাৎ একহাজার ৩০ কোটি ইউরোর বাজেট অনুমোদিত হয় ১৯৯৩ সালে৷ সে বছরই শুরু হয় রোজেটা মিশন৷ রোজেটায় চড়ে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে ১০০ কিলোগ্রাম ওজনের অদ্ভুত এক যান ফিলা৷ ধূমকেতুর দিকে যাত্রা মানে সরাসরি সূর্যের দিকে এগিয়ে চলা৷ যেনতেন গতিতে নয়, সেকেন্ডে ১৮ কিলোমিটার বেগে ১০ বছর ধরে ছুটে গত অগাস্টে অবশেষে ধূমকেতু ৬৭পি/চুরিউমভ-গেরাসিমেনকোকে নাগালে পায় ফিলা৷ তারপর থেকে চলেছে ধূমকেতুর গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটে, তাকে ছোঁয়া, অর্থাৎ তার ওপর চেপে বসার চেষ্টা৷ ফিলা সেই কাজটি করতে পেরেছে বুধবার৷
বিশ্বের সবচেয়ে সফল স্পেস এজেন্সি ইএসএ-র বিজ্ঞানীরা বুধবার থেকে তুমুল উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা আর আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন ফিলার দিকে৷ সঙ্গে একটু দুশ্চিন্তাও আছে৷ কথা ছিল ধূমকেতুকে পুরোপুরি নাগালে পেলে ফিলা দু-দুটো হারপুন ছুড়ে নিজেকে ধূমকেতুর সঙ্গে আটকে ফেলবে৷ সেই কাজে ফিলা কিছুটা ব্যর্থ৷ হারপুন দুটো ঠিকভাবে কাজ করেনি৷ তারপরও অবশ্য ফিলা থেকে রোবট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মিশন কন্ট্রোলরুম জার্মানির ডার্মস্টাট শহরে৷ বুধবার সেখান থেকে জানানো হয়, ফিলা ইতিমধ্যে তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে৷ ঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আগামীতে ধূমকেতুর শরীর ফুটো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নানা ধরনের তথ্য পাঠাবে ফিলা৷
ফিলা কোনো কারণে ব্যর্থ হলেও তাকে বহন করে নিয়ে যাওয়া রোজেটা কাজ চালিয়ে যাবে৷ রোজেটার মিশন শেষ হবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে৷
এসিবি/এসবি (এএফপি)