1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নব্য নাৎসি হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো জার্মান সংসদ

২৩ নভেম্বর ২০১১

প্রায় অভূতপূর্ব ঐক্য দেখিয়ে জার্মান সংসদের সব সদস্য মঙ্গলবার সম্মিলিতভাবে নব্য নাৎসি সন্ত্রাসের নিন্দা করলেন৷ তবে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পদ্ধতি সম্পর্কে এখনো ঐকমত্য অর্জন করা যায় নি৷

https://p.dw.com/p/13F0x
Mit zahlreichen Aktionen protestieren Dresdner am 1.5.2002, wie hier am Schloss, gegen einen Aufmarsch von rund 800 Neonazis in ihrer Stadt. Unter dem Motto "Dresden gegen Rechts - Jetzt Gesicht zeigen" wurden die Prosteste von mehr als 180 Vereinen, Initiativen, Parteien, Gewerkschaften und Kirchen unterstützt. Über 13000 Menschen nahmen nach DGB-Angaben teil.
নব্য নাৎসিদের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানিতে বহুকাল ধরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে নব্য নাৎসিদের হাত ছিল এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তা টেরও পায় নি – এমন বাস্তবের সম্মুখীন হয়ে গোটা দেশ স্তব্ধ৷ দলমত নির্বিশেষে জার্মানির রাজনীতিকরাও নানা ভাবে উগ্রবাদী হিংসার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ, দুঃখ ও আবেগ প্রকাশ করেছেন৷ মঙ্গলবার সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ'এ তাঁদের হয়ে বক্তব্য রাখলেন স্পিকার নর্বার্ট লামার্ট৷ তিনি বলেন, রাজ্য ও ফেডারেল স্তরে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এমন ভয়ংকর অপরাধের ষড়যন্ত্র ঠিক সময় টের পায় নি এবং তা প্রতিরোধও করতে পারে নি৷ এর ফলে আমরা সবাই অত্যন্ত লজ্জিত৷

মঙ্গলবার বুন্ডেসটাগ'এর পাঁচ সংসদীয় দলই সম্মিলিতভাবে এক প্রস্তাব অনুমোদন করে, যাতে নব্য নাৎসি হিংসার শিকার ১০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই অপরাধের নিন্দা করা হয়েছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ বলেন, শুধু নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিই এই হত্যালীলার শিকার হন নি৷ সেইসঙ্গে আমাদের সমাজ, আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মূল্যবোধ, আমাদের গণতন্ত্রের প্রতিও হামলা চালানো হয়েছে৷ এবার অপরাধী ও তাদের মদতদাতাদের উচিত শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের জঘন্য আদর্শের মূলে আঘাত হানতে হবে৷

Der 77jährige SPD-Ehrenvorsitzende und Alterspräsident Willy Brandt bei der Eröffnungsansprache. Der am 02.12.1990 gewählte erste gesamtdeutsche Bundestag ist am 20.12.1990 im Reichstag in Berlin zu seiner konstituierenden Sitzung zusammengetreten. Foto: Wolfgang Kumm +++(c) dpa - Report+++
জার্মান সংসদ অধিবেশন (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance/ dpa

শুধু কথা নয়, কাজের মাধ্যমে দ্রুত উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কাঠামোর খোলনলচে বদলে দিতে চায় জার্মান সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিডরিশ ইতিমধ্যেই ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু বাড়তি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন৷ এর আওতায় ২০০৪ সালে ইসলামী উগ্রবাদ দমন করতে যেভাবে এক কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল, ঠিক সেই আদর্শেই উগ্র দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের লক্ষ্যেও এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে৷ তাছাড়া এক কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে উগ্র দক্ষিণপন্থী ও নব্য নাৎসিদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা করা হবে, যাতে যে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তা কাজে লাগাতে পারে৷ এতকাল রাজ্য ও ফেডারেল স্তরে একাধিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণে সহজে এই মূল্যবান তথ্যের নাগাল পাওয়া যেত না৷

জার্মানিতে নব্য নাৎসি সন্ত্রাস সম্পর্কে সম্প্রতি যা জানা গেছে, তার ফলে বিদেশেও যে সেদেশের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, তা মনে করিয়ে দিলেন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নেতা ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ ফলে চরম দক্ষিণপন্থীদের রাজনৈতিক দল এনপিডি'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার উদ্যোগ আবার নতুন করে শুরু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ের ফলে এই উদ্যোগ বিফল হয়েছিল৷ সেসময়ে এনপিডি দলের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার এত চর লুকিয়ে ছিল যে, দলের প্রকৃত রূপ বোঝাই কঠিন হয়ে পড়েছিল৷ ফলে সেযাত্রা বেঁচে যায় এনপিডি৷ আজ যারা আবার সেই উদ্যোগ শুরু করার পক্ষে, তারা সরকারের উদ্দেশ্যে এনপিডি থেকে সব চর আগে সরিয়ে নেওয়ার ডাক দিয়েছেন৷ সরকার অবশ্য এই সব চরদের ফিরিয়ে আনতে চায় না৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে ভিতরের খবর না পেলে প্রশাসনের পক্ষে ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় ৩০টি উগ্র দক্ষিণপন্থী সংগঠন নিষিদ্ধ করা সম্ভব হতো না৷

উগ্র দক্ষিণপন্থী দল বা গোষ্ঠীগুলির মধ্যে চর পাঠিয়ে সরকার কী সাফল্য পাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বামপন্থী ‘জি লিংকে' দলের নেতা গ্রেগর গিজি৷ তাঁর মতে, এত লোকবল সত্ত্বেও হত্যালীলা বন্ধ করা সম্ভব হয় নি৷ সরকার উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক অনুদান কমিয়ে আনতে সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিরোধী দলগুলির বিস্তারিত সমালোচনা মুখে তা আবার প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানিয়েছে৷ যারা চরম দক্ষিণপন্থীদের হামলার শিকার, তাদের জন্যও সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ 

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য