নারী পুলিশদের নিয়ে আনন্দের খবর
৭ নভেম্বর ২০১৫জাতিসংঘ শান্তি মিশনের হয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করে এতদিন বিশেষভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের পুরুষ সদস্যরাই প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ তবে নারীরাও এগিয়ে এসেছে৷ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের ১৬০ জনের একটি দল গিয়েছিল হাইতিতে৷ আফ্রিকার দেশটি তখন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, রাজনৈতিক অস্থিরতাও চরমে৷ সেই অবস্থাতেই বাংলাদেশের নারী পুলিশরা গিয়েছিলেন হাইতিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার কঠিন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে৷
পাকিস্তানের অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতা শারমিন ওবায়েদ চিনয় এবং ভারতের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী নির্মাতা গীতা গান্দভির অবশ্য বাংলাদেশের মেয়েরা কীভাবে সমাজ ও পরিবারের বাধা ডিঙিয়ে হাইতিতে গেলেন, কীভাবে তাঁরা সামলাচ্ছেন কর্মস্থল ও পরিবার- এসবও তুলে ধরেছেন ৯৪ মিনিটের এক তথ্যচিত্রে৷ তথ্যচিত্রের নাম, ‘আ জার্নি অফ আ থাউজেন্ড মাইলস : পিসকিপার্স'
তথ্যচিত্রটিতে বাংলাদেশের ১৬০ জন নারী কীভাবে পুলিশে যোগ দিলেন, যোগদানের পর নিজেদের পেশাদার পুলিশ হিসেবে কীভাবে কতটা প্রস্তুত করেছেন, হাইতির অপরিচিত পরিবেশে নতুন ধরনের দায়িত্বই বা কীভাবে পালন করেছেন – এসব বিষয়ও উঠে এসেছে৷ বাংলাদেশের সাধারণ পরিবারের মেয়েরা চাকরি করতে গেলে কত ধরনের বাধার সম্মুখীন হয় – অল্প পরিসরে সেদিকটিও তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে৷ তবে তথ্যচিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনটি৷ মূলত তিনজন নারী পুলিশের মাধ্যমেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো বিষয়টি৷
তিন নারী পুলিশ সদস্যের বাংলাদেশে পারিবারিক ও কর্মজীবন সেলুলয়েডে ধারণ করেছেন পাকিস্তানের শারমিন ওবায়েদ চিনয়৷ প্রায় তিন বছর লেগেছে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করতে৷ এই তিন বছরে অনেক বার বাংলাদেশে এসে কাজ করেছেন শারমিন৷
সহ পরিচালক গীতা গান্দভির নিউইয়র্কে থাকেন৷ তাই হাইতির অংশের কাজটুকু করেছেন তিনি৷
২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত হাইতিতে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ১৬০ জনের দলটি৷ এখন তাঁরা দেশে৷ তবে তাঁদের নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে দেশে দেশে৷
এসিবি/এসবি