বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ম্যাচ
১৭ নভেম্বর ২০১৫তবে এই ম্যাচের ফল নিয়ে কারোরই কোনো দ্বিমত ছিল না৷ ম্যাচটি শুরু থেকেই আলোচিত ছিল নিরাপত্তাজনিত কারণে৷ হ্যাঁ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শংকিত হয়ে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে তাদের ক্রিকেট দলকে পাঠায়নি৷ ফুটবল দলকে পাঠানো নিয়েও হয়ে গেছে অনেক আলোচনা৷ ফিফা পর্যন্ত গড়িয়েছিল ব্যাপারটি৷ অবশেষে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে যেতে রাজি হলেও খেলার আগেরদিন প্র্যাকটিস করেছে সিঙ্গাপুরে৷ আর মঙ্গলবারের ম্যাচ খেলতে তারা ঢাকায় পৌঁছেছে আগেরদিন, অর্থাৎ সোমবার রাতে!
নিরাপত্তা নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের এই চিন্তার প্রকাশ দেখা গেছে সকারুজদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাচ প্রিভিউ রিপোর্টেও৷ সেখানে বাংলাদেশ থেকে জয় নিয়ে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যের আগেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে নিরাপদে যাওয়া ও নিরাপদে ফিরে আসার বিষয়টিকে!
অবশ্য ঢাকায় পৌঁছে অস্ট্রেলিয়া দলের সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়রা নিরাপত্তা নয়, শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন বলে জানিয়েছিলেন৷
বাংলাদেশ দলের ইটালীয় কোচ ফাবিও লোপেজ বলেছিলেন, ‘‘আমি জিততে চাই৷ তবে ওরা খুবই শক্তিশালী দল৷'' আর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও সহ-অধিনায়ক জামাল ভূইয়া এই ম্যাচে ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামার কথা জানিয়েছিলেন৷
প্রথম লেগের ম্যাচে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ৷ সবশেষ কয়েকদিন আগে তাজিকিস্তানের মাঠেও একই ব্যবধানে ধরাশায়ী হয় বাংলাদেশ৷
এদিকে, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য অনুপ্রেরণা পাঠিয়েছিলেন৷
‘চ্যানেল নাইন' খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করে৷
জেডএইচ/ডিজি