‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা করছে বিএনপি'
১৯ মার্চ ২০১৫সামহয়্যারইন ব্লগে আহমেদ রশীদ আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে একটি লেখা শেয়ার করেছেন৷ সবার মনে কৌতূহল বিএনপি এ নির্বাচনে প্রার্থী দেবে কিনা – এ বিষয়টি নিয়ে৷ প্রতিবেদনটির শিরোনামেই বলা হয়েছে, ‘‘সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের চিন্তা করছে বিএনপি৷''
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ীও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এখনো ‘হ্যাঁ' বা ‘না' কিছুই বলেনি বিএনপি৷ এ সম্পর্কে তাদের দলীয় এবং জোটের সিদ্ধান্ত জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে৷
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ বসেছিল টেলিভিশনের সামনে৷ মেলবোর্নে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ৷ টস জিতে ব্যাট করার পর থেকেই চাপের মুখে ছিলেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা৷ দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না৷ এক পর্যায়ে খুব অল্প ব্যবধানে ধাওয়ান, কোহলি এবং রাহানেকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ১৯৮৩ ও ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়নরা৷ সুরেশ রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা শুরু করেন রোহিত শর্মা৷ এই দু'জনের ১২২ রানের জুটির সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩০২ রান করে ভারত৷ তবে ভারতের এই সংগ্রহ বিতর্কের ঊর্ধে থাকেনি৷ রোহিত শর্মা যখন ৯০ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন, তখন রুবেলের ফুলটসে (ক্যাচ) আউট হয়েছিলেন৷
কিন্তু রুবেলের ফুলটস কোমরের ওপরে ছিল বলে ‘নো' ডাকেন আম্পায়ার৷ আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার শেন ওয়ার্নসহ অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷ টুইটারে লক্ষণ লিখেছেন, ‘‘গৌল্ডের কাছ থেকে বাজে সিদ্ধান্ত এলো৷ এটা কোমরের ওপরে ছিল না৷ ভাগ্যের সহায়তা পেল রোহিত৷'' শেন ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘নো বল দেওয়ার মতো যথেষ্ট উঁচুতে ছিল না বলটি৷ আলিম দারের মতো একজন আম্পায়ারের কাছ থেকে এটা হতাশাজনক একটি সিদ্ধান্ত৷''
পাকিস্তানের আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে ৯০ রানে বেঁচে যাওয়া রোহিত শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রান করেছেন৷ বাংলাদেশ আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি৷ বাংলেদেশের ইনিংস শুরুর আগে থেকেই আম্পায়ার এবং আইসিসি-র প্রতি ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন ক্রিকেটামোদীরা৷
গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘‘এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে৷ আমি বিসিএফইউ-কে অনুরোধ করছি, আপনারা ডাক দিন৷ কেউ না আসলে আমি আসবো৷ অন্তত দুনিয়াকে দেখানো দরকার আমরা মেরুদণ্ডহীন নই৷ আর ন্যূনতম লজ্জাবোধ থাকলে এই নষ্ট-ভ্রষ্ট আইসিসি থেকে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ করা উচিত৷''
সামহয়্যারইন ব্লগে সালাম বাবুল ক্ষোভ জানাতে গিয়ে লিখেছেন, ‘‘১১ জন নয়, ভারত খেলেছে ১২ জন নিয়ে৷'' তাঁর মতে, ‘‘মাঠে আমপায়ার যে আচরণ করেছে, তাতে মনে হয় আমপায়ারসহ ওরা ১২ জন খেলছে আমাদের বিরুদ্ধে৷ না ১২ জন নয়, বরং তারও বেশি, কেন না, মাঠে একজন আমপায়ার তো ২২ জন খেলোয়ারের সমান...৷''
জুলহাস খান লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেট নাকি ভদ্রদের খেলা!'' তাঁর ভাষায়, ‘‘ক্রিকেটকে বলা হয় ভদ্রদের খেলা৷ আজ দেখলাম অভদ্রদের ছড়াছড়ি৷ ক্রিকেট নামক ভদ্র খেলায় যখন ভারতের মতো অভদ্র দেশ যেখানে মোড়ল গিরি করছে সেখানে কিভাবে ক্রিকেট ভদ্র খেলা থাকে৷ ভারতকে জেতানোর জন্য কত না বাহানা করল আইসিসি৷....জোর করে ম্যাচের ‘ফিকশ্চার' পরিবর্তন করেছে তারা ভারতকে সুবিধা দেয়ার জন্য৷ এখানেই শেষ নয়৷ ভারতকে জিতানোর জন্য ব্যাটিং পিচ করেছে আইসিসি৷ এটা যদি ভদ্রতার পরিচয় হয়, তাহলে অভদ্রের প্রয়োজন কি?''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ