1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি-তেও 'চুরি'?

২৯ জুলাই ২০২২

ইডি হেফাজতে পশ্চিমবঙ্গের সদ্য সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারই মধ্যে তার পিএইচডি নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

https://p.dw.com/p/4EpIW
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ছবি: Satyajit Shaw/DW

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পেয়েছিলেন তৃণমূলনেতা তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার ইডি তাকে গ্রেপ্তার করার পরে এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বিপুল পরিমাণ গয়না উদ্ধারের পরে মুখ্যমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। দল তাকে দলীয় পদ থেকেও সরিয়ে দিয়েছে।

পার্থের গবেষণাপত্রের নাম ছিল ‘ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ান ইকনমি টু নলেজ ইকনমি: দ্য রোল অব হিউম্যান রিসোর্স উইথ রেফারেন্স টু ইন্ডিয়া'। তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, পিএইচডি করার জন্য যে কোর্স ওয়ার্ক হয়, সেখানে ন্যূনতম হাজিরা তিনি দেননি। মোট ৪৮ দিনের কোর্স ওয়ার্কে পার্থ হাজির ছিলেন মাত্র দুইদিন। অথচ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে হলে কোর্স ওয়ার্কে অন্তত ৭৫ শতাংশ হাজিরা দিতে হয়।

অভিযোগকারীদের বক্তব্য, হাজিরা না দেয়া কোনো বিষয়ই নয়, তার চেয়েও বড় অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ২২৬ পাতার গবেষণাপত্রে ৫০ শতাংশ বিষয়বস্তুই তার নিজস্ব নয়। অর্থাৎ, অন্য কোনো গবেষণাপত্র থেকে টোকা। এখানেই শেষ নয়, কোথা থেকে কী নেওয়া হয়েছে, তার কোনো ঋণ স্বীকার করা হয়নি গবেষণাপত্রে। অভিযোগ, নিজের গবেষণাপত্র পার্থ নিজে লেখেননি। অন্যকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন।

অভিযোগ, পার্থ কলকাতার একটি হোটেলে একাধিক গবেষক এবং শিক্ষকদের ডেকেছিলেন, কে তার গবেষমাপত্র লিখবে, তা ঠিক করার জন্য। সেখানে গেছিলেন এমন এক ব্যক্তি নাম গোপন রাখার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পার্থের কথায় তিনি সায় দিতে পারেননি। শিক্ষক হিসেবে বিবেকে লেগেছিল। তাই লিখতে রাজি হননি। তবে রায়গঞ্জ কলেজের অন্য এক ব্যক্তি সে কাজ করেন বলে বলে অভিযোগ। যদিও সেই ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি গাইড অনিল ভুঁইমালির বিরুদ্ধেও। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সময়ের অর্থনীতির অধ্যাপক পরবর্তীকালে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশেই তিনি উপাচার্য হন বলে অভিযোগ। কেন তিনি এত অভিযোগ সত্ত্বেও পার্থের পিএইচডি অনুমোদন করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমকে অনিল জানিয়েছেন, ''এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। পার্থের গবেষণাপত্রে দুই শতাংশ নকল রয়েছে। যা অনুমোদনযোগ্য।'' কিন্তু অভিযোগকারীদের বক্তব্য, তার চেয়ে অনেক বেশি নকল আছে। প্রবীণ রাজনীতিক অরুনাভ ঘোষ জানিয়েছেন, তার মেয়ে জেএনইউ-য়ের ছাত্রী। তারা বিশেষ সফটওয়্যারে পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষণাপত্রের ৭৪ শতাংশ নকল।

তৃণমূলের কোনো নেতা এবিষয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)