এ কেমন প্রতিবাদ!
১৮ এপ্রিল ২০১৭সোমবার রাতের আঁধারে কে বা কারা যেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সব ভাস্কর্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে৷ ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকদের কার্যালয়ও বন্ধ করে দেয় তারা৷
খবরটি প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মন্তব্য আর বিশ্লেষণে মেতে ওঠেন অনেকে৷
টুইটারে সাংবাদিক অঞ্জন রায় লিখেন, ‘‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের চারুকলা অনুষদের উল্টে থাকা ভাস্কর্যগুলো চাপাতির কোপে মরা মানুষের মতোই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে৷''
মোহাম্মদ মাইনুদ্দীন মনে করেন, এর পেছনে বড় কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে৷ সেই ধারণা থেকেই তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি মনে করি তা সরকারের সাথে ইসলামি সংগঠনগুলোর বিবাদ তৈরির ষড়যন্ত্র, কৌশল৷''
তবে নাজমুল হক লিখেছেন, ‘‘ছাত্ররাই তছনছ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটের পাঁচ শতাধিক ভাস্কর্য৷''
অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমেও এমন খবরই আসছে৷
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় চারুকলার সাত শিক্ষার্থী জড়িত বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন৷ শিক্ষকরা জানান, ঘটনায় জড়িতদের সবাই স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, তারা ৩০-৪০ জন মিলে এই কাজ করেছেন৷ ভাস্কর্যগুলো সংস্কারের দাবি জানাতে এমনটি করেছেন বলে দাবি তাদের৷
সাংবাদিক হারুন উর রশীদ স্বপন প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যের যে অবমাননা করল, তার কী শাস্তি হবে?''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ