ফাঁসি রোধে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি
৭ এপ্রিল ২০১৫নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন৷ তাই অবিলম্বে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি৷
হ্রিতোহ্রি মেঘলা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তোমরা জানো, বিএনপি জামায়াতের ছোড়া আগুনে নিহত হয়েছে ১৪৫ জনেরও বেশি মানুষ৷ তখন তোমরা চুপ করে ছিলে, আর এখন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছ!'' এ বিষয়ে আরও একটি টুইট করেছেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়া বন্ধ কর৷ মানবতা মানুষের জন্য হওয়া উচিত, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য নয়৷''
মো. সাইদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া বেশ খোলামেলা এবং সুষ্ঠু৷ দণ্ডিত অপরাধীরা তাদের নিরপরাধ প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু প্রমাণ করতে পারেনি৷''
রায়হান জামিল লিখেছেন, ‘‘ধিক্কার এইচআরডাব্লিউ৷ আদালত বলেছে যুদ্ধাপরাধীদের কর্মকাণ্ড নাৎসিদেরও হার মানিয়েছে৷''
পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুকে জামায়াতের একটি মন্তব্য উল্লেখ করে সে ব্যাপারে তাঁর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘জামাতে ইসলামী বলেছে, কামারুজ্জামান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার৷ সময়ের ব্যবধানে প্রতি ফোঁটা রক্তের জবাব কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করা হবে৷... আমাদেরও তো কড়ায় গণ্ডায় হিসাব নিতে বাকি আছে, আমাদের রক্ত অবশ্য ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরেনি৷ রক্তের সাগর হয়েছিল একাত্তরে৷ কোন প্রতিশোধ নিতে নয়, পূর্বপুরুষদের উপরে চালানো গণহত্যার বিচার চাই, সভ্য মানুষের মতো৷ এটা ইতিহাসের দায়৷''
মনিকা রায় ডেইলি স্টারের একটি ভিডিও প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন, যেখানে কামারুজ্জামানের রায়ের পর জনগণের প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে৷ উঠে এসেছে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকরের দাবি৷
দেওয়ার জাহিদ লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক