ফিফা'র নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বিন হাম্মাম
২৫ আগস্ট ২০১১এশিয়ার ফুটবল কনফেডারেশন এর অন্যতম শক্তিশালী এই ব্যক্তিত্ব বৃহস্পতিবার জানান, আমার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ফিফা আপিল কমিটিতে আপিল করা হয়েছে৷
তবে, আপিল কমিটির কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন না হাম্মাম৷ তিনি বলেন, ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় নয়, বরং খেলাধুলা বিষয়ক সালিশ আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ফিফার কাছে এই আপিল করেছি আমি৷
সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে খেলাধুলা বিষয়ক বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতের অবস্থান৷ ফিফা'র আপিল বিভাগে ন্যায় বিচার না পেলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে লোজানের আদালতে হাজির হতে পারেন বিন হাম্মাম৷
গত মাসে বিন হাম্মাম'এর ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞার ঘটনাটি ফিফা'র ইতিহাসে বিরল৷ গত ১০৭ বছরে ফিফা'র এত উর্ধ্বতন কোন সদস্যকে নিষিদ্ধ করা হয়নি৷ সর্বশেষ ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বিন হাম্মাম৷ এই নির্বাচনে নিজের পক্ষে ভোট টানতে ক্যারিবীয় প্রতিনিধিদের ঘুস প্রদানের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে৷ এরপরই নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন এই কাতারি নাগরিক৷
গত সপ্তাহে ফিফা'র নৈতিক কমিটি বিন হাম্মামকে নিষিদ্ধ করার কারণ প্রকাশ করে৷ এরপরই এই বিষয়ে আপিলের সুযোগ পান হাম্মাম৷ তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ফিফা'র আপিল কমিটির কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ৷
কারণ হিসেবে হাম্মাম এর দাবি, আমার প্রতিপক্ষই ফিফা আপিল কমিটির গঠন করেছে, এক্ষেত্রে তাই আগেরমতই বিচারকই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী৷ ফলে আমি আগেই ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করতে পারছি না৷
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য সবরকম চেষ্টা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিন হাম্মাম৷ ব্যক্তিগত ব্লগে তিনি লিখেছেন, আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারা পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব৷ আমি প্রমাণ করতে চাই, আমাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক এবং ফিফা প্রেসিডেন্সি পদে লড়াই এর অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখেন বিন হাম্মাম৷ অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে পেছনে ফেলে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ দিচ্ছে ফিফা৷ কাতার এর পক্ষে সমর্থন আদায়ে কাজ করেছেন বিন হাম্মাম৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক