ফিফার কাছে বিন হাম্মামের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দাবি করেছে জাপান
২৭ জুলাই ২০১১জাপানের সংবাদপত্রগুলো বুধবার ওগুরার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘সারা জীবনের জন্যে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার কারণ সম্পর্কে আমাদেরকে জানাতে হবে ফিফার৷'' জাপান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন, জেএফএ-র প্রেসিডেন্ট জুনজি ওগুরা আরো বলেন, ‘‘যেহেতু এটি সারাজীবনের নিষেধাজ্ঞা তাই, এএফসির স্বাভাবিক অগ্রগতির জন্যে বিশেষ সাধারণ অধিবেশনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন৷''
শুক্রবারে কুয়ালালামপুরে নির্বাহী বোর্ডের একটি বৈঠক ডেকেছে এএফসি৷ জুন মাসে ফিফার নির্বাচন চলাকালে মোহামেদ বিন হাম্মামের বিরুদ্ধে ঘুস দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরে ফিফার এথিকস কমিটি বিন হাম্মামকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব ধরণের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে৷
৬২ বছর বয়সি বিন হাম্মাম কাতারের নাগরিক৷ কাতারের জন্য ২০২২ সালের বিশ্ব কাপ আয়োজনের অধিকার অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি৷ ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে জুন মাসের নির্বাচনের সময় ক্যারিবীয় কর্মকর্তাদের ভোট কেনার চেষ্টায় তার বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ডলার নগদ অর্থ উপহার দেয়ার অভিযোগ আনা হয়৷
এদিকে ক্যারিবীয় ফুটবল কর্মকর্তাদের বৈঠকের ব্যাপারে আবারো তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে ফিফা৷ বিন হাম্মাম আবারো বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং অভিযোগ খণ্ডন করতে লড়াই চালিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন৷ জেএফএ-র প্রেসিডেন্ট জুনজি ওগুরা সংবাদপত্রগুলোকে বলেছেন, বিন হাম্মাম তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন৷ বিন হাম্মামের চিঠির বরাত দিয়ে ওগুরা বলেন, ‘‘আমি কোন দোষ করিনি৷ এএফসি-র প্রেসিডেন্ট পদ এবং ফিফার নির্বাহী পদে ইস্তফা দেয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই৷ ফিফার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে বলে আমি মনে করিনা, আমি কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট, বা সিএএস-কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাবো৷'' সিএএস হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সংক্রান্ত বিচার কর্তৃপক্ষ৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল-ফারূক