নিষিদ্ধ তালিকায় ‘বাংলাদেশের আইএস'
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ট্রেজারি বিভাগের ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল বিভাগ বা ওএফএসি-র ওয়েবসাইটে নিষিদ্ধ ব্যক্তির তালিকায় নাইজেরিয়ার নাগরিক আবু মুসাব আল-বার্নাবি এবং সোমালিয়ার মাহাদ মোয়ালিমের নাম যুক্ত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ, মিশর, ফিলিপাইন্স, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া ও টিউনিশিয়ার সাতটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আনার কথা বলা হয়েছে৷
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আলাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তথাকথিত জঙ্গি সংঘটন আইএস-এর নতুন ৪০ জন ব্যক্তি, সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যারা ২০১১ সাল থেকে আইএস-এর হয়ে কাজ করছে৷ এতে বলা হয়েছে, ‘‘এদের নিষিদ্ধ করা হলে আইএস-এর ‘নিরাপদ স্বর্গ' নষ্ট হয়ে যাবে, অর্থাৎ তাদের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিদেশি যোদ্ধাদের তারা নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হবে৷ ফলে ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের আধিপত্য খর্ব হবে, সেখানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং গৃহহীন মানুষরা নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবে৷''
বাংলাদেশ ছাড়া আইএসআইএস-ইজিপ্ট, আইএসআইএস-ফিলিপাইন্স, আইএসআইএস-সোমালিয়া, আইএসআইএস-ওয়েস্ট আফ্রিকা, জুন্দ আল-খলিফা-টিউনিশিয়া (আইএসআইএস-টিউনিশিয়া) এবং ফিলিপিন্সভিত্তিক মাউতি গ্রুপকে ঐ তালিকায় যুক্ত করেছে ইউএস ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট৷
বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ও হত্যার দায় স্বীকার করে আইএস-এর পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হলেও সরকার ও পুলিশ সবসময়ই সে দাবি নাকচ করে আসছে৷
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডেরপর মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন৷ সে বছরের ২৮শে সেপ্টেম্বর গুলশানে এক ইটালীয় এনজিওকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এর পাঁচ দিনের মাথায় রংপুরের এক গ্রামে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও৷ দু'টি ঘটনার পরই আইএস (ইসলামিক স্টেট) হত্যার দায় স্বীকার করে বলে খবর দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ'৷
এরপর ২০১৬ সালের ১ জুলাই শুলশানের হোলি আর্টিজান ক্যাফেতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহত হন৷
এই ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ সন্দেভাজন হামলার হোতাদের চিহ্নিত করার পর বলেছিল, তারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীজামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির নতুন সংস্করণ ‘নব্য জেএমবি'৷
এপিবি/ডিজি (রয়টার্স)