বাংলাদেশের স্কুল বাচ্চাদের সাহায্যে জার্মানি
২২ জুলাই ২০১৩‘আনফিফ’ বা ‘হুইসেল’ নামে একটি প্রকল্প তৈরির মধ্যে দিয়ে তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত৷
‘আনফিফ' বা ‘হুইসেল' প্রকল্পটি এ রকম: রেভে তার গ্রাহকদের উৎসাহিত করছেন দুই প্যাকেট ‘বিফি' কেনার জন্য৷ এখানে বলা প্রয়োজন, ‘বিফি' হলো ‘ইউনিলিভার' কোম্পানির তৈরি ‘বিফ' বা গরুর মাংসের ‘সসেজ', যা বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার৷ সাধারণত এক-একটি প্যাকেটে পাঁচটি করে সসেজ থাকে৷ তা প্রকল্পটি অনুযায়ী, কেউ যদি এরকম দু'টি প্যাকেট কেনেন, তাহলে তার বিনিময়ে বাংলাদেশের একটি স্কুলের সব বাচ্চাদের বিনে পয়সায় একদিনের একবেলার খাবার হতে পারে৷
গত বছরের মতো এ বছরও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন টোমাস ম্যুলার৷ তার সঙ্গে সঙ্গে ‘রেভে' ও ‘ইউনিলিভার'-কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷ বিশ্বখ্যাত এই খেলোয়াড় নিশ্চিত যে, ‘‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাজারো শিশুর জীবন সুন্দর হতে পারে৷ বাচ্চাদের বিনে পয়সায় খাবার দেয়ার মাধ্যমে ওদের পরিবারগুলোকেও সাহায্য করা হচ্ছে, যাতে তারা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারে এবং বাচ্চারা লেখাপড়া করে নিজ নিজ ভবিষ্যৎ গড়তে পারে৷''
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বিনে পয়সায় স্কুলে খাবার যোগানোর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাচ্চাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করছে এবং করবে৷ গত চার বছর ধরে ইউনিলিভার এই প্রকল্পটির সাথে কাজ করছে৷ এবং এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি স্কুলের বাচ্চাদের জন্য প্রায় ৭০ লাখ বার খাবার দেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে বাচ্চারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে যে কতটা লাভবান হচ্ছে, তা লক্ষ্যণীয়৷
এই প্রকল্পেটির মধ্য দিয়ে ১১ বছর বয়সি সাবিনার মতো অনেক বাংলাদেশি মেয়েকে সাহায্য করা হচ্ছে, যাতে ওরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে৷ বাংলাদেশে শুধুমাত্র অপুষ্টিতেই ভোগে প্রায় ছয় কোটি মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ লাখই শিশু৷ সাবিনার স্বপ্ন, সে বড় হয়ে একজন শিক্ষক হবে৷
আগামী ২২ থেকে ২৭ জুলাই ‘রেভে' ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ক্রেতারা ‘বিফি' এবং ‘ইউনিলিভার'-এর অন্যান্য জিনিস কিনে বাচ্চাদের সাহায্য করতে পারেন৷ বিফিসহ মার্জারিন, স্যুপ, ম্যাগনাম ও লাংনেজে আইসক্রিমের তো কিছু জিনিস কিনেও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে সাহায্য করা যেতে পারে, যাতে বাংলাদেশের বাচ্চারাও অন্য বাচ্চাদের মতো ভালো থাকতে পারে, দেখতে পারে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন৷