বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হতে চলেছে
২৮ জানুয়ারি ২০১২বার্লিনে চিরকালই বাস্তববাদী, বাস্তবধর্মী ছবির কদর৷ ৬২তম চলচ্চিত্র উৎসবেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না৷ সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ৷ ফেস্টিভালে এবার আরব চিত্রনির্মাতাদের বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও কাহিনীচিত্র প্রদর্শিত হবে, ফুটে উঠবে ২০১১ সালে আরব দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন, উত্থান-পতনের ইতিহাস৷
অপরদিকে থাকবে জাপানে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর পরিবেশ সংক্রান্ত আরেক ধরণের সামাজিক চেতনার বিকাশ নিয়ে বিভিন্ন ছবি৷ বার্লিনালে'তে রাজনীতি-ঘেঁষা ছবি প্রদর্শনের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে ফেস্টিভাল পরিচালক ডিটার কসলিক নিজেই বলেছেন, ‘‘ওটাই আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক পথ৷''
সমাজে শিল্পীর স্থান ও ভূমিকা নিয়ে বিতর্কে বার্লিন চিরকালই অগ্রণী৷ গতবছর বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব এক ইরানি চিত্রপরিচালকের স্বদেশে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে৷ তেহরান সরকার জাফর পানাহি'কে বার্লিনে আসতে দেননি, যদিও তাকে বার্লিনালে'র জুরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷ এ'বছর চীনের ভিন্নমতাবলম্বী শিল্পী আই ওয়ে ওয়ে সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্রকে নিয়ে অনুরূপ ঝড় উঠতে পারে৷
অপরদিকে ‘‘দ্য আয়রন লেডি'' খ্যাত মেরিস স্ট্রিপ স্বয়ং আসছেন একটি লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড নিতে৷ বার্লিনালে'র সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গোল্ডেন বেয়ার' বা স্বর্ণভল্লুকের জন্য প্রতিযোগিতায় নামছে ১৭টি ছবি৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক