মিশরে সংকট
২৮ নভেম্বর ২০১২বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, প্রাণহানি সবই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির জারি করা একটা ডিক্রির কারণে৷ এই ডিক্রি জারির পরই দেশ জুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়৷ সরকার বিরোধীরা বলছেন, এর মাধ্যমে একনায়ক হবার পথে যাত্রা শুরু করেছেন মুরসি৷ মুরসি অবশ্য বলেছেন এই পদক্ষেপ সাময়িক, একটা সময় তিনি বাড়তি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন৷
কিন্তু তাঁর এ মৌখিক আশ্বাসে সরকার বিরোধীরা আস্থা রাখতে পারছেন না বলেই চলছে তীব্র বিক্ষোভ৷ চলছে সংঘর্ষ৷ মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ীই তাতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিন জন৷ বুধবারের সংঘর্ষে অবশ্য কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি৷ গত বছর হোসনি মুবারক বিরোধী গণবিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল যে তাহরির স্কোয়ার, সেখানে বুধবারও হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকে মুরসির বিরুদ্ধে৷ এক পর্যায়ে তাঁরা মার্কিন দূতাবাসের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ বাঁধা দেয়৷ শুরু হয় সংঘর্ষ৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মুখোশ পরা বিক্ষোভকারীদের আবার সেই কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার লুফে নিয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারতেও দেখা গেছে৷
এ বছর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রথম সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় মিশরে৷ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ হোসনি মুবারকের অধ্যায় শেষ হওয়ার পর ডিক্রি জারি করে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা করায় বিরোধী দলগুলো উদ্বিগ্ন৷ এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ মিশরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে – এ কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘‘ আসলে কী ঘটতে চলেছে তা এখনো বোঝা যাচ্ছেনা৷''
এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)