বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তের দাবি
১৩ এপ্রিল ২০১৭ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য অ্যানথেয়া ম্যাকিনটায়ার এই আহ্বান জানান৷ রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়মিত হত্যার বিষয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার আলোচনার প্রমাণ হাতে রয়েছে বলে সুইডেনের জাতীয় রেডিও দাবি করার পর ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের কনজারভেটিভ দলের এই এমপি এমন আহ্বান জানান৷
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্কে ম্যাকিনটায়ার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘রেকর্ডিং অনুসারে একজন ব্যক্তিকে তুলে নেওয়া, তাকে হত্যা করা এবং লাশ গুম করে দেওয়ার জন্য র্যাব কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হতো৷ আর যাদের তুলে নেওয়া হতো, তারা প্রধানত বিরোধী দলের সদস্য৷'' এ বিষয়ে স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠন করতে বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ দিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান মাকিনটায়ার৷ র্যাব অবশ্য সুইডিশ রেডিওর ওই প্রতিবেদনকে ‘অস্পষ্ট' এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা হিসেব উল্লেখ করেছে৷
প্রসঙ্গটি নিয়ে ফেসবুকেও কয়েকজন কথা বলেছেন৷ রিফাত হাসান লিখেছেন, ‘‘র্যাব নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলার নেই৷ র্যাব না থাকলেও কিছু হয় না, বিলুপ্ত হলেও না৷ বাংলাদেশে এখন সব সরকারি বাহিনীই র্যাবের পাশাপাশি খুনে বাহিনী হিসেবে নিজেদের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব দেখিয়েছে৷ সর্বসাম্প্রতিক নুরুল আলম হত্যার ব্যাপারে পুলিশের দিকেই অভিযোগ৷ ফলত র্যাব বিলুপ্ত হলে সরকার বরং আরো ক্লিন ইমেজে বাকি বাহিনীগুলো দিয়েই তৎপর রাজনৈতিক কর্মীদের গুপ্তহত্যা, গুম ও নির্যাতন চালিয়ে যেতে পারবে৷ শুধু র্যাব বিলুপ্তি নয়, দরকার অন্য কিছু৷''
রুপন আজিজ লিখেছেন, ‘‘র্যাব, পুলিশ নিরীহ মানুষদের গুম করে এত দিন কোনো হদিস দিতোনা, সেসব পুরানো খবর৷ নতুন খুশির খবর হলো, এ সব অপহৃত মানুষকে কোনো জঙ্গি হামলায় নাম ঢুকিয়ে হয় মেরে ফেলা হয়, নয়ত গ্রেফতার করা হয়৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী