বিধিনিষেধ তুলতে সমন্বিত উদ্যোগ চায় ইইউ
১৫ এপ্রিল ২০২০করোনা ঠেকাতে আরোপ করা বিধিনিষেধ শিথিল করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ তবে, দেশভেদে পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় সবার জন্য অভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ সম্ভব নয়৷
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন বুধবার করোনা ভাইরাসের কারণে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জারি করা নানা বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার রুপরেখা প্রকাশ করেছেন৷ এ সংক্রান্ত ১৪ পৃষ্ঠার ডকুমেন্টে লায়েন বলেছেন যে ‘‘যদিও এটা পরিষ্কার যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দীর্ঘ সময় লাগবে, এটাও ঠিক যে আমরা এসব অস্বাভাবিক বিধিনিষেধ অনির্দিষ্টকালের জন্য বহাল রাখতে পারবো না৷’’
তবে, ফন ডেয়ার লায়েন স্বীকার করেছেন যে ইউরোপ মহাদেশে জারিকৃত লকডাউন কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে৷ একইসঙ্গে এই উদ্যোগ অর্থনীতিতে এক বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং জনজীবনের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে৷ ইইউ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন করোনার কারণে ইউরোজোনের অর্থনীতি এই বছর দশ শতাংশের মতো ছোট হয়ে যেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ১৯২০ সালের দিকে গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকটের পর এটাই হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় নিম্নগতি৷
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা কমাতেও উদ্যোগী হয়েছেন৷ তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ না করে বিচ্ছিন্নভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তা সবার জন্যই ক্ষতিক হতে পারে৷ তিনি আশা করছেন, করোনার কারণে যেসব ইইউ রাষ্ট্র সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাও নিয়ন্ত্রিতভাবে আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে৷
নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে করোনা সংক্রমণের হার যাতে আবারো বেড়ে না যায় সেজন্য তিনটি শর্ত পূরণের কথাও বলেছে ইইউ কমিশন৷ সেগুলো হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা তোলার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাখাতগুলোর উপর বাড়তি চাপ নেই, সংক্রমণের হার কমেছে এবং যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের নিরাপত্তায় বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণ সম্ভব হবে৷
অস্ট্রিয়া এবং ডেনমার্ক ইতোমধ্যে জনসাধারণের উপর আরোপকৃত কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷ অন্যদিকে, স্পেন এবং ফ্রান্স বিধিনিষেধ জারি রাখছে৷ আবার কিছু দেশ এখনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রেখেছে৷
এআই/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)