কুকুরের পর রাশিয়া নিয়ে বিপাকে জার্মান সংবাদপত্র
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮এসপিডি দলে ভোটাভুটির উপর কালো ছায়া ফেলছে জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড সংবাদপাত্র বিল্ড৷ প্রথমে একটি কুকুরকে এসপিডি সদস্য করে তার ভোটাধিকার নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসপিডি নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছে তারা৷
তারপর এসপিডি দলের যুব শাখার মহাজোট-বিরোধী প্রচারে রাশিয়ার সম্ভাব্য মদত নিয়েও আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিল্ড৷ পরে জানা যায়, টাইটানিক নামের ব্যঙ্গধর্মী পত্রিকার একটি রম্য রচনার উপর ভিত্তি করেই সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল৷ তাতে দাবি করা হয়েছিল যে, এক রহস্যময় রুশ ব্যক্তি এসপিডি যুব শাখার প্রধানকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ সেই খবর অনুযায়ী, ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এসপিডি দলের সদস্যদের ভোটাভুটির উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায় রাশিয়া৷ তথ্য যাচাই না করেই সেই প্রতিবেদন ছাপার ফলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিল্ড৷
এদিকে সরকার গড়ার রূপরেখা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে৷ এসপিডি সদস্যরা সরকারে যোগ দেবার পক্ষে ভোট দিলে মহাজোট গঠনের পথে শেষ বাধা দূর হবে৷ ৪ঠা মার্চ তাঁদের সিদ্ধান্ত জানা যাবে৷ সে ক্ষেত্রে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবার চ্যান্সেলর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন৷ একই সময়ে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে৷ আরও বিলম্ব এড়াতে এক সপ্তাহ আগেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য চাপ রয়েছে৷ কিন্তু সে সময়ে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের কোনো অধিবেশন না থাকায় আরও অপেক্ষা করতে হবে৷ এই কারণে বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে এসপিডি দল৷ ১২ই মার্চ থেকে আবার সংসদের অধিবেশন বসবে৷ তাই ১৩ অথবা ১৪ই মার্চ সরকার গঠন করার প্রস্তাব দিচ্ছে এসপিডি৷
প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর ও এসপিডি প্রধান গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার এর মধ্যেই দলের সদস্য হিসেবে ভোট দিয়ে দিয়েছেন৷ মহাজোট সরকারে যোগ দেবার পক্ষে সওয়াল করে তিনি বাকি সদস্যদের সম্মতি আশা করছেন৷
নতুন মহাজোট সরকার গঠিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করবেন না সিগমার গাব্রিয়েল৷ তাঁকে ঘিরে দলের মধ্যে বর্তমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রচেষ্টায় তিনি বিশ্বাস করেন না৷ উল্লেখ্য, সামরিক জোট ন্যাটোর জন্য সদস্য দেশগুলির ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে গাব্রিয়েল সিডিইউ দলের সমালোচনার পাত্র হয়েছেন৷ বিভিন্ন বিষয়ে ঘন ঘন ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার ফলে সরকারের সদস্য হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে৷