জার্মানিতে সরকার গঠনের পথে শেষ বাধা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮গোটা ইউরোপ তাকিয়ে রয়েছে এই নির্বাচনের দিকে৷ জার্মানিতে শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করা সম্ভব হবে কিনা, তা নির্ভর করছে এসপিডি দলের ৪৬৩,৭২৩ জন সদস্যের রায়ের উপর৷ সোমবার থেকেই তাঁরা ডাকযোগে ব্যালট পেপার পেতে শুরু করবেন৷ ডাকযোগেই তাঁদের সেই ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে৷ গোটা প্রক্রিয়ার ব্যয় প্রায় ১৫ লক্ষ ইউরো৷ ২রা মার্চের মধ্যে যেসব ব্যালট জমা পড়বে, তার ভিত্তিতেই গণনা হবে৷ ৪ঠা মার্চ ফলাফল জানা যাবে৷
এসপিডি নেতৃত্ব সরকারে যোগ দেবার প্রশ্নে সদস্যদের সম্মতির আশা করছেন৷ প্রচার অভিযানের শুরুতেই তাঁরা সদস্যদের মনোভাব কিছুটা টের পাচ্ছেন৷ অনেক সদস্যই মনেপ্রাণে চান না, দল আবার মহাজোটের শরিক হোক৷ কিন্তু তাঁদের আশঙ্কা, বিকল্প হিসেবে আবার নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে৷ বিশেষ করে জনমত সমীক্ষায় এসপিডির প্রতি সমর্থন যেভাবে রেকর্ড মাত্রায় কমে গেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচনে দলের ফলাফল মারাত্মক হতে পারে৷ এমনকি পপুলিস্ট এএফডি দল বেশি ভোট পেয়ে এসপিডিকে পেছনে ফেলে দিতে পারে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছত্রছায়ায় আবার সরকার গড়া নিয়ে যাদের মনে সংশয় রয়েছে, তাঁরা এবারের কোয়ালিশন চুক্তিতে এসপিডি দলের আধিপত্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন৷ বিভিন্ন শহরের এসপিডি মেয়ররা মহাজোটের পক্ষে সমর্থন জানানোর ফলে দলের নেতৃত্ব কিছুটা স্বস্তি বোধ করছে৷
তবে এসপিডি দলের মধ্যে মহাজোট-বিরোধীরাও হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ দলের এই অংশ মনে করে, সরকারে যোগ দেবার বদলে বিরোধী আসনে থেকে একেবারে নতুন করে দলকে ঢেলে সাজানো উচিত৷ যুব শাখা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এই মনোভাব পোষণ করেন৷
গত নির্বাচনে শুধু এসপিডি নয়, ইউনিয়ন শিবিরও বেশ খারাপ ফল করার পর সিডিইউ ও সিএসইউ দলের মধ্যেও বিতর্ক চলছে৷ দলীয় সম্মেলনের আগে সিডিইউ দলের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ স্বাস্থগত কারণে দলের সাধারণ সম্পাদক পেটার টাউবার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেবার পর সেই পদে নতুন মুখ খুঁজতে হবে৷ ২৬শে ফেব্রুয়ারি দলীয় সম্মেলনের আগে দলের নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল সম্ভাব্য মহাজোট সরকারে ৬ জন মন্ত্রীর নামও ঘোষণা করতে চান৷ দলের সব অংশের মধ্য থেকে মন্ত্রীদের নাম ঘোষণার জন্য চাপ বাড়ছে৷ গত নির্বাচনে এএফডি দলের অভাবনীয় সাফল্যের পর সিডিইউ দলের একাংশ ভবিষ্যতে আরও রক্ষণশীল অবস্থানের উপর জোর দিচ্ছে৷ বাভেরিয়ার সিএসইউ দলেও ইউনিয়ন শিবিরের আদর্শগত অবস্থান নিয়ে বিতর্ক চলছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)