বিশ্বকাপে রেফারিদের কাজ কী?
২৯ এপ্রিল ২০১৮রাশিয়ার মস্কোতে স্থাপিত একটি কেন্দ্রে এই রেফারিরা থাকবেন৷ সেখান থেকেই মাঠের রেফারির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁরা৷ মাঠের রেফারি চাইলে সাইডলাইনে গিয়ে ভিডিওর রিপ্লেও দেখতে পারবেন৷ আর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদেরও বড় স্ক্রিনে ভিডিও রেফারির সিদ্ধান্ত জানানোর ব্যবস্থা থাকবে৷
যে চারটি বিষয়ে ভিএআর-রা সিদ্ধান্ত দেবেন সেগুলো হচ্ছে, গোল এবং গোল হওয়ার আগ মুহূর্তের বিষয়াদি, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত, সরাসরি লাল কার্ড এবং ভুল বলে বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত৷
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফিফা ইতিমধ্যে ভিএআরদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে৷ বিশ্বকাপের জন্য ৩৬ জন রেফারি ও ৬৬ জন সহকারী রেফারি নির্বাচন করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্য থেকেই কয়েকজনকে ভিএআর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
অফসাইডের সিদ্ধান্ত নির্ভুল করার জন্য এবারের বিশ্বকাপে দুটি অতিরিক্ত ক্যামেরার ব্যবস্থা করবে ফিফা৷ ফলে একটি ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য এবার এই দু'টিসহ মোট ৩৫টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে৷
বিতর্ক
রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভিএআর ব্যবহার হতে যাচ্ছে৷ তবে জার্মানির বুন্ডেসলিগা, ইটালির ‘সিরি এ' ও পর্তুগালের লিগে ইতিমধ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিএআর-এর কারণে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত এড়ানো গেছে৷ তবে ভিএআর-এর বিপক্ষে সমালোচনাও আছে৷ যেমন সম্প্রতি বুন্ডেসলিগার এক ম্যাচে হাফটাইমের সময় ফ্রাইবুর্গ ক্লাবের বিরুদ্ধে একটি পেনাল্টি দেয়া হয়েছিল৷ অর্থাৎ হাফটাইম শেষে যখন ফ্রাইবুর্গের খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরেছিলেন, তখন শুরুতেই তাঁদের একটি পেনাল্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ এছাড়া ভিএআর সিদ্ধান্তের জন্য কখনও কখনও খেলা কয়েক মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছে৷
তবে বিশ্বকাপের সময় যেন এসব বিষয় এড়ানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফিফার রেফারিদের প্রধান পিয়েরলুইজি কোলিনা৷
ইউরোপীয় ফুটবলের সংস্থা উয়েফার প্রধান অবশ্য বিশ্বকাপে ভিএআর ব্যবহার নিয়ে ‘উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, এই প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি পরীক্ষিত নয়৷ তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মরসুমেও এটি ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি৷ অবশ্য ফুটবল খেলায় ভিএআর ব্যবহারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
বন্ধুরা, আসন্ন বিশ্বকাপে াপনার প্রিয় দল কোনটি? জানান নীচের ঘরে৷