বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা
১৪ ডিসেম্বর ২০১২শ্রদ্ধাভরে জাতি আজ স্মরণ করেছে বীর শহিদদের৷ নানা বয়সের হাজারো মানুষ আজ তাই জড়ো হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে৷ তাদের সবার একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই৷ পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের এই দিনে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে৷ যার উদ্দেশ্য ছিল জাতিকে মেধা শূন্য করা৷ আর স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে৷
মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ পুষ্পস্তবক অর্পণের পর, প্রধানমন্ত্রী দেশের এই কীর্তিমান সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছু সময়ের জন্যে সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এ সময় বিউগলে বেজে উঠে করুন সুর৷
এরপর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়৷ সকাল ৯টায় বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ স্মৃতিসৌধে আসেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারাও৷
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের পক্ষে ফুল দেয়ার পর বলেন, সবচেয়ে আতঙ্কের কথা৷ তিনি জানান, সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে যুদ্ধপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-শিবির চক্র আবারও গণহত্যার পরিকল্পনা করছে৷ গড়ছে অস্ত্রের মজুদ৷
বিএনপি নেতারাও অবশ্য বলেন যে, তারাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চান৷ তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ৷ বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য তরিকুল ইসলাম ও মওদুদ আহমেদ দলের পক্ষে স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়ার পর তাদের প্রতিক্রিয়ায় এমন কথাই শোনান৷