শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক
৫ সেপ্টেম্বর ২০১২আজ বুধবারও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাননি৷ যদিও শিক্ষক সমিতির নেতারা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যাবার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ তবে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছিলেন, তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেও উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়৷
যার প্রতিফলন আজ দেখা গেছে৷ উপাচার্য ক্লাস শুরুর জন্য সিনিয়র শিক্ষকদের বৈঠক ডাকলেও সেখানে শিক্ষক সমিতির কোনো নেতা বা তেমন কোনো সিনিয়র শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না৷ ফলে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে কোন ফলপ্রসু আলোচনা হয়নি৷ যারা যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কোনো ফলফল জানাতে পারেননি উপাচার্য৷ তাই তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি৷ তাঁর প্রতিনিধি আবু তালেব জানান, সময় হলে উপাচার্য কথা বলবেন৷
এদিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা আজ আবারও বলেছেন তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে সরে আসেননি৷ তাঁরা উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য দু'জনেরই পদত্যাগ চান৷ তবে উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর তাঁরা ক্লাস শুরু করে পরবর্তী দাবি আদায় করতে চান৷
এদিকে বিকেল চারটার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুয়েটের ১৬ সদস্যের ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ তাঁদের সঙ্গে দুইজন শিক্ষকও রয়েছেন৷ তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. এহসানুল হক এবং অধ্যাপক একেএম মাসুদ৷ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দু'জন শিক্ষক বৈঠক থেকে বের হয়ে জানান শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তখনো তাদের সমঝোতা হয়নি৷ ছাত্ররা ভিসি এবং প্রোভিসি দু'জনের পদত্যাগের দাবিতেই অটল আছেন৷ বৈঠক আরো চলবে৷
বৈঠকে যাওয়ার আগে ছাত্ররা কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে৷ তখনও তাঁরা জানান তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে সরে আসবেন না৷
গত ছয়মাস ধরে বুয়েটের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন ছাত্র-শিক্ষকরা৷ সরকার উপ-উপাচার্যকে সরিয়ে দিতে রাজি হলেও এখনো উপাচার্যের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক