পরিবেশ
৫ আগস্ট ২০১২জার্মানির কোলন ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার কাজ করছেন মো. খুরশীদ হাসান৷ তিনি সম্প্রতি কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে ঘুরে আসলেন ডোমিনিকান রিপাবলিক-এর বোনাও শহর৷ সেখানে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে গঠিত সিগার ফ্যামিলি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন তথা সিএফসিএফ-এর উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিদ্যালয় ও আদর্শ পল্লী ঘুরে দেখেন তাঁরা৷ এই উদ্যোগ সম্পর্কে খুরশীদ হাসান বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বোনাও-তে স্থানীয় গরিব পরিবারগুলোর জন্য সিএফসিএফ-এর গড়ে তোলা বিদ্যালয়কে ভিত্তি করে সেখানে একটি পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই পর্যটন কেন্দ্র তৈরির রূপরেখা দাঁড় করানো৷''
সিএফসিএফ-এর সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক উদ্যোগ হিসেবে গড়ে তোলা এই বিদ্যালয় এবং আদর্শ পল্লী সম্পর্কে খুরশীদ হাসান জানান, ‘‘আমি আসলে অভিভূত হয়েছি যে, সিগার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন যে এলাকা থেকে তামাক উৎপাদন করছে, সেই এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ সেখানকার গরিব পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়েদের জন্য গড়ে তুলেছে একটি চমৎকার বিদ্যালয়৷ সাথে রয়েছে তাদের ক্রীড়া ও বিনোদনের ব্যবস্থা৷ এছাড়া পরিকল্পনামাফিক আয় বর্ধনমূলক কৃষি চাষাবাদ চলছে আশেপাশের জমিতে৷ সেই আয় থেকে প্রকল্পের ২০ শতাংশ ব্যয় নির্বাহ করা হয়৷ আর বাকি আশি শতাংশ ব্যয় নির্বাহ করা হয় দাতাদের সহায়তা থেকে৷ এখন এই বিদ্যালয় এবং আদর্শ পল্লীকে ঘিরে সেখানে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷''
সিএফসিএফ-এর এই উদ্যোগের সাথে কোলন ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততার দিক তুলে ধরতে গিয়ে হাসান বলেন, ‘‘জার্মানির কোলন ও মেক্সিকো'সহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই অবকাঠামো, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছে৷ এছাড়া তাদের বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমেও পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷''
সিএফসিএফ-এর এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও শুধুমাত্র নিজেদের আয় বাড়ানোর কথা না ভেবে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করেন খুরশীদ হাসান৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ