রুশ-ভারত
২৪ ডিসেম্বর ২০১২প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ও পুটিনের বৈঠকে প্রাধান্য পায় প্রতিরক্ষা বাণিজ্য৷ আগামী দশ বছরে দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমর উপকরণ কেনার পরিকল্পনা আছে ভারতের৷ ভারত-রুশ সম্পর্কের ভিত্তিটাই হলো কার্যত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা৷
আলোচনা শেষে সই হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দশটি সমঝোতা স্মারকপত্র যার মধ্যে আছে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ, কারিগরী ও প্রযুক্তি সহযোগিতা, সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ও তার যন্ত্রাংশ সরবরাহ তথা ভারতে লাইসেন্সের অধীনে তার উৎপাদন ইত্যাদি৷
পরিবর্তে রাশিয়া সাইবেরিয়া এবং অন্যত্র তেল ও গ্যাস উৎপাদনে ভারতের যোগদানকে স্বাগত জানাবে৷
বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়৷ অনেক ক্ষেত্রেই উভয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গী অভিন্ন৷ নিরাপত্তা পরিষদ, ব্রিকসের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুদেশের শলাপরামর্শ প্রক্রিয়া হয়েছে গভীরতর৷
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন একটি স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান কাম্য - যা থাকবে সন্ত্রাস এবং বাইরের হস্তক্ষেপ মুক্ত৷
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটছে রাজনৈতিক সংলাপ, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে৷
এমন কয়েকটি ইস্যু ছিল যা নিয়ে ভারত-রুশ সম্পর্ক সম্প্রতি টান ধরেছিল৷ যেমন তামিলনাড়ুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বেসামরিক পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা আইন৷ এতে সরবরাহকারী দেশকে পরমাণু দুর্ঘটনাজনিত দায় বহন করতে হবে৷
উল্লেখ্য, রুশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬৫ বছর চলছে৷