মধ্যকালীন নির্বাচন ডাকলেন টেরেসা মে
১৯ এপ্রিল ২০১৭‘স্ন্যাপ ইলেকশানের' কথা ঘোষণা করার সময় মঙ্গলবার মে বলেন যে, তিনি বুধবার সংসদীয় অনুমোদন প্রাপ্তির প্রক্রিয়া শুরু করবেন – কেননা ব্রিটেনে মধ্যকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করার আগে প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন নিশ্চিত করতে হয়৷
গতবছর ব্রেক্সিট ভোটের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন; তখন মে ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হন৷ কিন্তু আগামী জুনের নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে জিতলে, তাঁর প্রথম সনদ৷
মধ্যকালীন নির্বাচনের ফলাফল যদি মে এবং কনজারভেটিভদের পক্ষে যায়, তাহলে অবশ্যই মে-র কর্তৃত্ব বাড়বে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় মে দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে পার্লামেন্টে কনজারভেটিভদের আসনসংখ্যা বাড়লে, মে জানবেন যে, ব্রেক্সিট আলাপ-আলোচনায় পার্লামেন্ট তাঁর পাশে থাকবে৷
ব্রেক্সিট বিরোধীরা
দেশে ব্রেক্সিট বিরোধীদেরও কোনো অভাব নেই, যেমন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন, যিনি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি দ্বিতীয় রেফারেন্ডাম চান৷ মে-র ঘোষণার পর স্টার্জন টুইট করেন: ‘‘টোরিরা যুক্তরাজ্যেকে আরো দক্ষিণপন্থি করে তোলার সুযোগ দেখছে, দেখছে একটি কঠিন ব্রেক্সিট ও আরো বেশি সামাজিক সুযোগ-সুবিধা কমানোর সম্ভাবনা৷ চলুন আমরা স্কটল্যান্ডের জন্য প্রতিরোধে নামি৷''
আইরিশ রিপাবলিকান সিন ফেইন পার্টি ঘোষণা করেছে যে, তারা উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য ইইউ-তে একটি বিশেষ স্ট্যাটাস পাবার প্রচেষ্টা করবে৷
অপরদিকে লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন মে-র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে, ‘‘লেবার দেশকে একটি কার্যকরি বিকল্প পেশ করবে৷''
লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের বর্তমানে মাত্র আটজন এমপি আছে৷ তাদের নেতা টিম ফ্যারন সঙ্গে সঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন: ‘‘যদি একটি কঠিন ব্রেক্সিটের বিপর্যয় এড়াতে চান, যদি ব্রিটেনকে সিংগল মার্কেটে রাখতে চান, যদি একটি মুক্ত, সহিষ্ণু ও ঐক্যবদ্ধ ব্রিটেন কামনা করেন, তাহলে এটাই আপনার সুযোগ৷''
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)