1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহনের চিঠির বক্তব্য প্রকাশ করল বিএনপি

৫ ডিসেম্বর ২০১১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে দেয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের চিঠির বক্তব্য প্রকাশ করল বিএনপি৷ মনমোহন সিং তাঁর চিঠিতে বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ কোনো সেচ প্রকল্প নয়৷ এটা বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে৷

https://p.dw.com/p/13MgE
Mirza Fakhrul Islam Alamgir is the Acting Secretary General of the Bangladesh Nationalist Party. Foto: DW Korrespondent Harun Ur Rashid Swapan, Undatierte Aufnahme, Eingestellt 20.09.2011
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: DW

সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে চিঠির মনমোহনের বক্তব্য প্রকাশ করেন৷ তবে চিঠির কোনো কপি সাংবাদিকদের দেয়া হয়নি৷

গত ২২ নভেম্বর খালেদা জিয়া যে চিঠি দেন তার জবাব ২৪ নভেম্বর দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ ওই চিঠিতে মনমোহন সিং খালেদা জিয়াকে বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল ভারত সরকারের আমন্ত্রণে টিপাইমুখ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে৷ প্রতিনিধি দলকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে যে, টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের কোনো এলাকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না৷ চিঠিতে মনমোহন সিং আরও বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পে ভারত সরকার এমন কিছু করবে না যার কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হতে পারে৷

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞদের কারিগরি প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নৌ-চলাচল, মৎস্য সম্পদ, পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হওয়ার গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে৷ প্রকল্পটি এতই ক্ষতিকর যে, এর বিরুদ্ধে মণিপুর ও মিজোরামের জনগণ ৪০ বছর ধরে আন্দোলন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷

মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বন্ধের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি৷ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যৌথ নদী কমিশনের সভায় টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও জানায়নি৷ এমনিক যৌথ কারিগরি সমীক্ষা প্রণয়নের জন্য কোনো তাগিদ দেয়নি৷ ২০০৯ সালে একটি সংসদীয় দল টিপাইমুখ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সাইট পরিদর্শন না করেই ফিরে আসে৷ আর ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও ফিরে এসে দেশবাসীকে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য