সম্প্রীতি না ভোটের রাজনীতি?
২১ জানুয়ারি ২০১৭১১ জানুয়ারি পাঞ্জাবে ৯০০ বছরের পুরোনো কাটাস রাজ মন্দির সফর করেন নওয়াজ৷ দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুদের কাছে এই মন্দিরটি অন্যতম তীর্থ স্থান৷ এই মন্দির পরিদর্শনকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকে৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি আঘাত না আসে, সে ব্যাপারে সরকারের মনোভাব আরও সুস্পষ্ট করতেই এ সফর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মুখপাত্র৷ তবে, সমাজ পরিবর্তনে সরকারের এই মনোভাবে রুষ্ট হয়েছেন কট্টরপন্থিরা৷
তারা যথারীতি এর বিরোধিতা করেছে৷ মন্দিরে আনুষ্ঠানিক পূজা হওয়ার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নওয়াজ বলেন, ‘‘আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে মুসলমান, হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান এবং যারা অণ্য ধর্মাবলম্বী-সবাই সমান, সবাই এক৷'' রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মন্দিরটির অবস্থান ১১০ কিলোমিটার দূরে কাটাস গ্রামে৷
অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান, শিখ এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ সেখানে নওয়াজ মুসলিম ধর্মীয় কট্টরপন্থিরা অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন৷
তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি এটা কোন নীতির মধ্যে পড়ে না৷ এমন দৃষ্টান্ত বা শিক্ষা কারোরই উপস্থাপন করা উচিত নয়৷'' তবে সমালোচকরা বলছেন, কট্টরপন্থিদের সামাল দিতে নজওয়াজ সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না৷ এসব কট্টপন্থিদের মধ্যে কারো কারো সঙ্গে ইসলামি জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নওয়াজের কাটাস রাজ মন্দির পরিদর্শন আসলে সংখ্যালঘুদের ভোটের প্রত্যাশায়৷ কেননা ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তাই নিজের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই তার এই সফর৷ যদিও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ ভাগ৷ তবে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ভোট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)
বিষয়টি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷