1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পাকিস্তান এমনিতেই চাপে আছে'

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২০ ডিসেম্বর ২০১৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে দেশটিকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেন৷ এছাড়া সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2UbBu
প্রতীকী ছবি
ছবি: Reuters/F. Aziz

ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে বাংলাদেশ-ভারতের অবস্থান এক ও অভিন্ন৷ পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে৷ আমরা মনে করি, যারা সন্ত্রাসকে সমর্থন দেয়, তাদের নিরুৎসাহিত ও বিচ্ছিন্ন করা উচিত৷ সন্ত্রাসবাদকে নিরুৎসাহিত করতে এবং এর প্রতি ঘৃণা জাগাতে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটুকুই করা উচিত৷ কোনো দেশের বিরুদ্ধেই এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না৷''

তাঁর কথায়, ‘‘অতীত এবং বর্তমানের নানা ঘটনায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তৎপরতাকে প্রশ্রয় দেয়ার প্রসঙ্গ বারবার সামনে চলে এসেছে৷''

ড. মুনতাসির মামুন

তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই চুক্তি সই হতে বিলম্ব হওয়ায় বিরোধী দল, বিশেষ করে দল জামায়াত বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ানোর সুযোগ নিচ্ছে৷ তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘কোনো একটি দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কোনো চুক্তি হতে পারে না৷ যেভাবে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে গেছে, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তি হবে৷''

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে৷ কিন্তু পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করা বা তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা বাংলাদেশের কূটনীতি নয়৷ বাংলাদেশের কূটনীতি হলো, সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, শত্রুতা নয়৷ তবে এর নানা ধরণ রয়েছে৷ সেজন্য প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সম্পর্কও থাকবে অভিযোগও থাকবে৷ আমরা চাই পাকিস্তানের সঙ্গে সর্বনিম্ন সম্পর্ক রাখতে৷ আর সেটাও পাকিস্তানের জন্য একটা মেসেজ৷''

শান্তনু মজুমদার

তিনি আরো বলেন, ‘‘পাকিস্তান যে সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তা সবার জানা৷ তাই এর ফল তাকে ভোগ করতে হবে৷'' এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের ব্যাপারে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন৷ তাঁর কথায় সরকারের নীতি প্রতিফলিত হয়েছে বলে আমার মনে হয় না৷''

শান্তনু মজুমদারের কথায়, ‘‘পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য বাংলাদেশকে কিছু করতে হবে না৷ পাকিস্তান এমনিতেই নানা করণে বিতর্কের মধ্যে আছে৷ রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান এরইমধ্যে তার চরিত্রের প্রতিফলন ঘটিয়েছে৷ সুতরাং আমাদের কাজ হলো, পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের পাওনা আদায় এবং আমাদের ব্যাপারে তাদের নাক গলানো বন্ধ করা৷''

বাংলাদেশের কূটনীতি হলো, সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, শত্রুতা নয়৷ এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? লিখুন নীচের ঘরে৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য