মহাকাশের গভীরে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি
২৮ অক্টোবর ২০১৪ইউরোপীয় পরিবহন মহাকাশযানগুলি এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০ টন জিনিসপত্র আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠিয়েছে৷ ইউরোপে এখনো পর্যন্ত এটিভি-ই সবচেয়ে জটিল মহাকাশযান৷ এবার তার দিন ফুরিয়ে আসছে৷ তাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি নতুন কাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে৷
এটিভি-যানে উচ্চ প্রযুক্তির ন্যাভিগেশন সিস্টেম রয়েছে৷ এর সাহায্যে সে তার নিজস্ব গতিপথ স্থির করতে পারে৷ এমনকি আইএসএস-এর সঙ্গে ডকিং-এর জটিল প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা ও তা কার্যকরও করতে পারে৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘এটিভি ৫-এ দুটি নতুন অপটিকাল সেন্সর রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে৷ শুধু স্পেস স্টেশনে ডকিং-এর জন্যই এর প্রয়োজন হবে না৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য বস্তুর কাছে বা তার সঙ্গে একতরফাভাবে যুক্ত হওয়া যাবে৷''
যেমন কক্ষপথ থেকে বিক্ষিপ্ত স্যাটেলাইট৷ মহাকাশে আবর্জনা এড়াতে এটিভি-৫ সেটির নিয়ন্ত্রিত পতন ঘটাতে পারবে৷ এটিভি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয়রা মহাকাশের গভীরে মানুষ পাঠাতে পারবে৷ তার ইঞ্জিন ও এভিয়নিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি করে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল-এর জন্য একটি মডিউল তৈরি করা হচ্ছে৷ অ্যামেরিকানরা অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুপুঞ্জে যেতে অথবা চাঁদে একটা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ মঙ্গলগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতির জন্য সেখানে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা চালানো যেতে পারে৷