মিল্কি হত্যার ভিডিও ফুটেজ
৩১ জুলাই ২০১৩স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১.০৭.১৩) গভীর রাতের ঘটনা৷ গাড়ি থেকে নেমে গুলশানের একটি বিপনি বিতানে ঢুকছিলেন যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কি৷ হঠাৎ সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি ও টুপি পরা এক যুবক মিল্কিকে গুলি করতে শুরু করে৷ আততায়ী বাম হাতে মোবাইল নিজের কানে ধরে রেখে ডান হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করতে থাকে৷
এই আততায়ীকে যুবলীগেরই আরেক নেতা এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক বলে নিশ্চিত করেছে ব়্যাব৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে এই তথ্য৷
প্রকাশ্যে মিল্কিকে গুলি করার এই দৃশ্য রেকর্ড হয়ে গেছে একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়৷ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর তা ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে৷ এই বিষয়ে কমিউনিটি বাংলা ব্লগ সামহয়্যার ইন ব্লগে জহির উদ্দিনের লেখার শিরোনাম, ‘‘মিল্কি হত্যাকাণ্ড সিসি ক্যামেরায় ধরা না পড়লে কি হতো??'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘ইসলামিক লেবাস পড়ে নিজেদের দলের মানুষ খুন করলো আওয়ামী নেতা, এরপর? যদি এই সিসি ক্যামেরা না থাকতো তাহলে নিশ্চিতভাবেই এই দায় হয়তো যেতো হেফাজতের উপর অথবা জামায়াতের উপর৷''
ডয়চে ভেলের দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড জয়ী ব্লগার আবু সুফিয়ান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘পাঞ্জাবি, টুপি পইরা যুবলীগ নেতা খুন করলো ছোট বেলার বন্ধুকে৷ সিসিটিভিতে ফ্রন্ট ফুটেজ না পাইয়া যদি শুধু ব্যাক ফুটেজ পাওয়া যাইতো তাইলে কি হইতো? সুবহানআল্লাহ! দোষ পড়তো পাঞ্জাবি-টুপি'র৷''
জাগোবিডি ডটকম নামক একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পাতায় মিল্কি হত্যাকাণ্ডের পুরো ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে৷ শুধু এই একটি পাতা থেকেই প্রথম বারো ঘণ্টায় ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে দু হাজারেরও বেশি বার৷ তপু শেখ সেখানে মন্তব্য করেছেন, ‘‘হায়রে আমাদের সোনার দেশ, একজন মানুষ ওরা গুলি করে মারছে আর বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে, সে যে দলেরই হোক না কেন... সে তো মানুষ, এর নাম আমরা বীরের জাতি???''
কাওসার শাহিনা নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘এটা একটা মানুষ আর এত মানুষের সামনে তাঁকে হত্যা করে কিভাবে পালিয়ে যায় হত্যাকারী? তারপর এখানে পুলিশও ছিলো৷ হায়রে দেশ, কোথায় বাস করছি!''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী