ইউরোপে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩এতকাল ম্যার্কেল-এর সরকার ইউরো এলাকার দুর্বল দেশগুলিকে অনেক অপ্রিয় সংস্কার ও সরকারি ব্যয় সংকোচন কর্মসূচি চালাতে কার্যত বাধ্য করেছে৷ নির্বাচনে জয়ের পর ম্যার্কেল আবার বলেছেন, সংকটগ্রস্ত দেশগুলিকে দুর্বলতা কাটিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে প্রতিযোগিতার বাজারে ফিরতে হবে৷ অন্যদিকে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বে আগামী সরকার আরও সহানুভূতির সঙ্গে এই সব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করার বিষয়ে মনোযোগ দেবে৷ এতকাল তাঁর জোটসঙ্গী উদারপন্থি এফডিপি দল যে সব বাধা সৃষ্টি করে আসছিল, ভবিষ্যতে দুই সম্ভাব্য জোটসঙ্গীর মধ্যে কোনো দলই সে পথে যাবে না৷ কারণ সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজ দল ইউরোপের সংকটগ্রস্ত দেশগুলির সাধারণ মানুষের কল্যাণে আরও পদক্ষেপ নেবার পক্ষে৷ ফলে চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল-এর তৃতীয় কার্যকাল ইউরো এলাকার দুর্বল দেশগুলির উপর চাপ কিছুটা হলেও কমাবে বলে মনে করছে একটি মহল৷
এদিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক – ইসিবির প্রধান মারিও দ্রাগি ইউরো এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কিছু কড়া কথা শুনিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ইউরো এলাকা মন্দা কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির পথে ফিরছে বটে, কিন্তু এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থেকে গেছে৷ চরম বেকারত্ব কাটছে না, আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকিও রয়ে গেছে৷ ফলে মন্দা কাটলেও তা কতটা স্থায়ী হবে, তা এখনই বলা কঠিন৷ ছোট ও মাঝারি মাপের সংস্থাগুলি বাজার থেকে এখনো সহজে ঋণ পাচ্ছে না৷ দ্রাগি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, যে এই সব সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রে ইসিবি যা করণীয় অবশ্যই করবে৷ ব্যাংকগুলির কাছে যাতে যথেষ্ট অর্থ থাকে, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত ইসিবি, বলেন দ্রাগি৷
বলা বাহুল্য, রবিবার জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে ছিল ইউরোপের পুঁজিবাজার৷ সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ম্যার্কেল চ্যান্সেলর থেকে যাবেন, এমনটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যেটি বাজারের কাছে ইতিবাচক খবর৷ তবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বাজারে সুদের হার বাড়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করায় সোমবার ইউরোর বিনিময় মূল্য কিছুটা পড়ে গেছে৷ মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফেড'-এর স্পষ্ট নীতির অভাবের ফলেও বাজার অশান্ত হয়ে উঠেছিল৷
এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)